যেভাবে যাবেন
নারানগিরি ফেরিঘাট রাজস্থলী হেডকোয়াটার ভায়া মিতিঙ্গাছড়ি সড়ক ধরে গাড়ি করে প্রায় ৪ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে হাফছড়ি বাহির পাড়ায় যেতে হয়। সেখান থেকে পায়ে হেটে আরো প্রায় ২ কিলোমিটার পাহাড়ি উঁচুনিচু পথ ধরে ছড়ার উপর দিয়ে হেটে গেলে তবেই এ ঝর্ণার দেখা মিলবে। পথিমধ্যে রাইখালী কৃষি ফার্ম, জগন্যাছড়ি, হাফছড়ি নিচের পাড়ার পথ ধরে ওই এলাকায় পৌছানো যায়। পাহাড়ের উপর উপজাতিয় পরিবার এবং তাদের অপূর্ব জীবন ধারা, বিভিন্ন রকমের ফলের বাগান পর্যটকদের বাড়তি আনন্দ দিবে। বিশেষ করে ছোট গুহা দিয়ে মুল ঝর্ণায় যেতে আনন্দটা আরো মধুময় হয়ে উঠবে।
অপরূপ এ ঝর্ণা দেখতে আসা কাপ্তাই সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জুনায়েত কাউসারের সাথে কথা হয়। তিনি বলেন, এলাকাটি পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে বিকশিত হওয়ার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে, এ্যাডভেঞ্চার প্রিয় পর্যটকরা এ পাথরের ঝর্ণা দেখে মুগ্ধ হবে। পর্যটকর বান্ধব এলাকা হিসাবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে পুলিশের পক্ষ থেকে সব সময় নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ ঝর্ণার সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে আসা চন্দ্রঘোনা মিশন হাসপাতালের পরিচালক ডা. প্রবীর খিয়াং জানান, এত কাছে এরকম সুন্দর ঝর্ণা রয়েছে, তা কল্পনা করতেই পারিনি। এখানকার পরিবেশ ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা খুব ভালো। চন্দ্রঘোনা থানার ওসি ইকবাল বাহার চৌধুরী জানান, তার থানা এলাকায় অবস্থিত এ ঝর্ণাটি দেখার মত, যদি সরকার মনযোগ দেয়, তাহলে এটি একটি আর্কষনীয় পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে পরিচিতি লাভ করবে।
এলাকার অধিবাসী কাপ্তাই উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার যুগ্ম সম্পাদক থোয়াইসাপ্র চৌধুরী রুবেল বলেন, এটা অনেক পুরনো একটি ঝর্ণা। প্রতিবছর এ ঝর্ণা দেখতে অনেক পর্যটক আসে এখানে।
হাফছড়ি ভিতর পাড়ার কারবারি থোয়াইসুইনু মারমা, এলাকার যুবনেতা থোয়াইচিং মং মারমা জানান, এখানে একটি মাচাং ঘর বা যাত্রি ছাউনি নির্মান করা হয় তাহলে পর্যটকদের জন্য সুবিধা হবে। এছাড়া এলাকার অবকাঠামোগত উন্নয়ন করলে এখানে দিন দিন আরো পর্যটকদের আগমন ঘটবে। প্রকৃতির অপূর্ব সৃষ্টি ক্যকপ্রাং ঝর্ণা দেখতে এখন প্রতিদিন ভিড় করছে অনেক পর্যটক।
স্থানীয়দের মতে, এলাকার অবকাঠামোগত উন্নয়ন করলে এখানে পর্যটকের আগমন বৃদ্ধি পাবে। ঝর্ণাকে কেন্দ্র করে যাতে এলাকার আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ঘটে এটাই এলাকাবাসীর প্রত্যাশা।