আজ বুধবার (৬ জানুয়ারি) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। এর আগে বেলা ১১টা থেকে দুপুর সোয়া দুইটা পর্যন্ত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সভাপতিত্বে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মিয়ানমারে সংঘটিত অভ্যন্তরীণ দাঙ্গার কারণে ১৯৭৮ ও ৭৯ সালে, ১৯৯১ ও ৯২ সালে এবং ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ১১ লাখ বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা নাগরিক বাংলাদেশের কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়া উপজেলার ৩৫টি কেন্দ্রে অবস্থান করছে।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ‘বাংলাদেশ সরকার ইতোমধ্যে এক লাখ রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তরের পরিকল্পনা নিয়েছে। এর অংশ হিসেবে এ পর্যন্ত দুই দফায় ৪০৬টি পরিবারের প্রায় তিন হাজার রোহিঙ্গাকে সেখানে স্থানান্তর করা হয়েছে। ভাসানচরে একটি ফায়ার সার্ভিস ইউনিট এবং একটি থানার কাজ চলছে।’
এছাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য সেনাবাহিনী এবং এপিবিএনের দুইটি ইউনিট কাজ করছে। একইসঙ্গে পুলিশ, বিজিবি, আনসার এবং র্যাব কাজ করছে। মাদকসহ সব ধরনের অপরাধ নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তায় পুলিশ মুখ্য ভূমিকা পালন করবে। ক্যাম্পের বাইরে সেনাবাহিনী টহল দেবে।’
এ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন,পররাষ্ট্রমন্ত্রী, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী, সেনাবাহিনী, পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং গোয়েন্দা সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তারা।