তবে করোনা পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে অনুষ্ঠানে স্বশরীরে উপস্থিত থাকবেন না প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি গণভবন থেকে ভার্চুয়ালে অংশ নেবেন এই আয়োজনে।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তথ্য মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মো. সাইফুল ইসলাম (চলচ্চিত্র)
২০১৯ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে আজীবন সম্মাননা পাচ্ছেন মাসুদ পারভেজ (সোহেল রানা) ও কোহিনুর আক্তার সুচন্দা।সেরা ছবি হিসেবে দ্বৈতভাবে জাতীয় পুরস্কার পাচ্ছে ‘ন ডরাই’ ও ‘ফাগুন হাওয়ায়’।সেরা অভিনেতা হিসেবে ‘আবার বসন্ত’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য পুরস্কার পাচ্ছেন তারিক আনাম খান। ‘ন ডরাই’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পাচ্ছেন সুনেরাহ বিনতে কামাল।'ন ডরাই' পরিচালনার জন্য সেরা পরিচালকের পুরস্কার পাচ্ছেন তানিম রহমান অংশু।
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০১৯-এ সবচেয়ে বেশি পুরস্কার পাচ্ছে কবি মাসুদ পথিক পরিচালিত ‘মায়া দ্য লস্ট মাদার’ ছবিটি। মোট আটটি বিভাগে পুরস্কার পাচ্ছে ছবিটি।জাহিদ হাসান 'সাপলুডু’ সিনেমায় খল চরিত্রে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ খল অভিনেতার পুরষ্কার পাচ্ছেন।
ছয়টি বিভাগে পুরস্কার পাচ্ছে ‘ন ডরাই’।তিনটি করে পুরস্কার পাচ্ছে ইমপ্রেস টেলিফিল্মের ‘ফাগুন হাওয়ায়’ ও দেশ বাংলা মাল্টিমিডিয়ার ‘মনের মতো মানুষ পাইলাম না’।সেরা গায়ক হিসেবে মৃনাল কান্তি দাস, সেরা গায়িকা হিসেবে মমতাজ বেগম ও ফাতিমা তুয যাহরা ঐশী জাতীয় পুরস্কার পাচ্ছেন।
সেরা সুরকার হিসেবে তানভীর তারেক ও আবদুল কাদির, সেরা গীতিকার হিসেবে ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী এবং সেরা সংগীত পরিচালক হিসেবে ইমন চৌধুরী পাচ্ছেন জাতীয় পুরস্কার।জাতীয় পুরস্কারের তালিকায় শ্রেষ্ঠ শিশুশিল্পী হিসেবে রয়েছে আফরীন আক্তার ও নাইমুর রহমান।
পার্শ্ব চরিত্রে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হিসেবে ফজলুর রহমান বাবু এবং পার্শ্ব চরিত্রে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে নার্গিস আক্তার এই পুরস্কার পাচ্ছেন।মোট ২৬টি ক্যাটাগরিতে জাতীয় পুরস্কার দেওয়া হবে।
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০১৯’ বিজয়ীর তালিকা
আজীবন সম্মাননা : মাসুদ পারভেজ (সোহেল রানা) ও কোহিনূর আক্তার সুচন্দা
শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র : ন ডরাই ও ফাগুন হাওয়ায়
শ্রেষ্ঠ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র : নারী জীবন
শ্রেষ্ঠ প্রামাণ্য চলচ্চিত্র : যা ছিলো অন্ধকারে
শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পরিচালক : তানিম রহমান অংশু (ন ডরাই)
শ্রেষ্ঠ অভিনেতা : তারিক আনাম খান (আবার বসন্ত)
শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী : সুনেরাহ বিনতে কামাল (ন ডরাই)
শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা : ফজলুর রহমান বাবু (ফাগুন হওয়ায়)
শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী : নারগিস আক্তার (মায়া- দ্য লস্ট মাদার)
শ্রেষ্ঠ খল অভিনেতা : জাহিদ হাসান (সাপলুডু)
শ্রেষ্ঠ শিশু শিল্পী : নাইমুর রহমান আপন (কালো মেঘের ভেলা) ও আফরীন আক্তার (যদি একদিন)
শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালক : মোস্তাফিজুর রহমান ইমন (মায়া- দ্য লস্ট মাদার)
শ্রেষ্ঠ নৃত্য পরিচালক : হাবিবুর রহমান (মনের মতো মানুষ পাইলাম না)
শ্রেষ্ঠ গায়ক : মৃণাল কান্তি দাস (তুমি চাইয়া দেখো- শাটল ট্রেন)
শ্রেষ্ঠ গায়িকা : মমতাজ বেগম (বাড়ির ওই পূর্বধারে- মায়া- দ্য লস্ট মাদার) ও ফাতিমা-তুয যাহুরা ঐশী (মায়া, মায়ারে- মায়া- দ্য লস্ট মাদার)
শ্রেষ্ঠ গীতিকার : নির্মলেন্দু গুণ (ইস্টিশনে জন্ম আমার- কালো মেঘের ভেলা) ও কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী (চল হে বন্ধু- মায়া- দ্য লস্ট মাদার)
শ্রেষ্ঠ সুরকার : প্লাবন কোরেশী (বাড়ির ওই পূর্বধারে- মায়া দ্য লস্ট মাদার) ও তানভীর তারেক (আমার মায়ের আঁচল- মায়া দ্য লস্ট মাদার)
শ্রেষ্ঠ কাহিনীকার : মাসুদ পথিক (মায়া-দ্য লস্ট মাদার)
শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার : মাহবুব উর রহমান (ন ডরাই)
শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতা : জাকির হোসেন রাজু (মনের মতো মানুষ পাইলাম না)
শ্রেষ্ঠ সম্পাদক : জুনায়েদ আহমেদ হালিম (মায়া- দ্য লস্ট মাদার)
শ্রেষ্ঠ শিল্প নির্দেশক : মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ বসু ও ফরিদ আহমেদ (মনের মতো মানুষ পাইলাম না)
শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রাহক : সুমন কুমার সরকার (ন ডরাই)
শ্রেষ্ঠ শব্দগ্রাহক : রিপন নাথ (ন ডরাই)
শ্রেষ্ঠ পোষাক ও সাজ-সজ্জা : খন্দকার সাজিয়া আফরিন (ফাগুন হাওয়ায়)
শ্রেষ্ঠ মেকআপম্যান : রাজু (মায়া- দ্য লস্ট মাদার)