আজ বুধবার (৬ ডিসেম্বর) সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে বলা হয়, ২০১৬ সালের জুলাই মাসে এ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। শেষ হওয়ার কথা চলতি বছরের জুন মাসে। যদিও ২০১৭ সালের জুলাই মাসে একনেকে অনুমোদনের পর এ প্রকল্পের কাজ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়।
প্রকল্পের মাধ্যমে ২০০টি উপজেলায় স্বয়ংক্রিয় কৃষি আবহাওয়া যন্ত্র স্থাপন, চারটি বিভাগীয় শহরের ওয়াসা অফিসে ৬৫টি স্বয়ংক্রিয় বৃষ্টি পরিমাপক যন্ত্র স্থাপন এবং ৩৫টি সনাতন পর্যবেক্ষণাগারে স্বয়ংক্রিয় বৃষ্টি পরিমাপক যন্ত্র স্থাপন করা হবে।
সংসদীয় কমিটি বলেছে, আবহাওয়া অধিদফতরের প্রকল্পে জনগণের কাজে ব্যবহৃত হবে এমন যন্ত্রপাতি যাতে কেনা হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। একই সঙ্গে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরে বিমানবাহিনীর একজন কর্মকর্তা প্রেষণে নিয়োজিত করার সুপারিশ করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বৈঠকে দেশে জনসাধারণের কাজে ব্যবহৃত হবে এমন যন্ত্রপাতি যেন স্থাপন করা হয় এবং সেই সঙ্গে প্রকল্পের আধুনিকায়নের কাজ যথাযথাভাবে তদারকি করার সুপারিশ করা হয়।
ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিমানবন্দরে আবহাওয়া যন্ত্রপাতি স্থাপন করে নিরাপদ বিমান উড্ডয়ন ও অবতরণে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষকে সাহায্য করা হবে। এছাড়া ঊর্ধ্বাকাশের আবহাওয়ার উপাত্ত সংগ্রহের জন্য ১১টি আন্তর্জাতিকমানের পোর্টেবল হাইড্রোজেন গ্যাস জেনারেটর স্থাপন করা হবে। গ্লোবাল টেলিকমিউনিকেশন সুইচিং সিস্টেম আধুনিকায়ন করা হবে।
কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ সুবিদ আলী ভূঁইয়ার সভাপতিত্ব বৈঠকে কমিটির সদস্য মুহাম্মদ ফারুক খান, ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লাহ্, মো. মোতাহার হোসেন, মো. নাসির উদ্দিন এবং নাহিদ ইজাহার খান অংশ নেন।