ভারতের স্টেট ব্যাংককে আদালত ওই এ্যাকাউন্টগুলির স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দিয়েছে। নিয়ম অনুসারে, কোনও ব্যাংক এ্যাকাউন্টে অনাদায়ী ঋণ দীর্ঘ দিন ধরে পড়ে থাকলে তখন সেটিকে অনুৎপাদক সম্পদ (নন পারফর্মিং অ্যাসেট) বলে ধরা হয়। তারপর ব্যাংক সেই এ্যাকাউন্টগুলির ফরেনসিক অডিট করে থাকে।
তখন অডিটে যদি তহবিল তছরুপ বা বেআইনি লেনদেন কিছু ধরা পড়ে তখন সংশ্লিষ্ট এ্যাকাউন্টটিকে ‘জালিয়াতি’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। আর সেকথা সাত দিনের মধ্যে রিজার্ভ ব্যাংকে জানাতে হয়। এছাড়া রিজার্ভ ব্যাংকে জানানোর ৩০ দিনের মধ্যে সিবিআই এর কাছে অভিযোগ জমা দিতে হয় যদি তা এক কোটি টাকার বেশি হয়।
বর্তমানে ঋণ জালে জর্জরিত অনিল আম্বানি একসময় বিশ্বের ধনীদের মধ্যে জায়গা করে নিয়েছিলেন। সূত্র অনুসারে, এই গোষ্ঠীর রিলায়েন্স কমিউনিকেশন, রিলায়েন্স টেলিকম এবং রিলায়েন্স ইনফ্রাটেলের ঋণের পরিমাণ যথাক্রমে, ৪৯০০০ কোটি টাকা ২৪,০০০ কোটি টাকা এবং ১২,০০০ কোটি টাকা। ঋণের ভারে তার এমনই বেহাল দশা যে কিছুদিন আগে অনিল আম্বানি জানিয়েছিলেন, তার এতই খারাপ দশা যে জীবনধারণের জন্য স্ত্রী সন্তানের উপর নির্ভর করতে হচ্ছে।