কুষ্টিয়া সদর উপজেলার কমলাপুরের গোপালপুর কবরস্থানে আজ শনিবার সকালে ওই স্কুলছাত্রীকে দাফন করা হয়। এর আগে সকাল ৭টা ৫ মিনিটে গোপালপুর ঈদগাহ মাঠে তার জানাজা হয়।
জানাজায় আনুশকার পরিবারের সদস্য, আত্মীয়স্বজন ও গ্রামবাসী অংশ নেয়। তার দাফন শেষে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছেন স্থানীয়রা।
জানাজা ও দাফন শেষে স্কুলছাত্রী নিহতের দ্রুত বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেন স্থানীয়রা। কমলাপুর বাজারে সড়কের দুপাশে দাঁড়িয়ে শত শত মানুষ এই মানববন্ধনে অংশ নেয়। মানববন্ধনে স্কুলছাত্রীর বাবা, ছোটো ভাইসহ আত্মীয় স্বজনেরাও উপস্থিত ছিলেন। সবাই স্কুলছাত্রী হত্যাকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। এ ছাড়া মামলায় ও সুরতহাল রিপোর্টে স্কুলছাত্রীর বয়স দুই বছর বাড়ানো হয়েছে উল্লেখ করে এর প্রতিবাদ জানান তাঁরা।
এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে এবং কেউ যাতে এমন অপরাধ করার সাহস না দেখায়, সে জন্য সব অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তারা।
এর আগে গতকাল শুক্রবার একই দাবিতে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘ধর্ষণ ও বিচারহীনতার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ’ ব্যানারে আনুশকা হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বিচার দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর পরে এসেও স্কুলছাত্রীদরে ধর্ষিত হতে হচ্ছে। আজকে এ ধর্ষণের ব্যাধি ছড়িয়ে পড়ছে। এ ব্যাধি থেকে সহজে নিস্তার নেই। বিচারহীনতার কারণে এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে। কলাবাগানে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।
গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর কলাবাগানের নিজ বাসা থেকে বন্ধু তানভীর ইফতেফার দিহানের বাসায় যায় সে। পরে গুরুতর অবস্থায় ওই ছাত্রীকে আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন দিহান। হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ বলেন, ‘ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে দেখা গেছে, শিক্ষার্থীর সঙ্গে বিকৃত যৌনাচার করা হয়েছে। এতে তার জননাঙ্গ থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। আর ওই রক্তক্ষরণের ফলেই তার মৃত্যু হয়েছে।’
এ ঘটনায় তানভীর ইফতেফার দিহানকে (১৮) একমাত্র আসামি করে কলাবাগান থানায় মামলা করেন নিহতের বাবা আল আমিন আহম্মেদ। কলাবাগান থানা পুলিশ দিহানকে গ্রেপ্তার করেছে। ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠিয়েছে।