মার্কিন প্রেসিডেন্টের অভিষেক অনুষ্ঠানে বিদায়ী প্রেসিডেন্টের অংশগ্রহণকে শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রতীক হিসেবে দেখা হয়। তবে গত শুক্রবার ট্রাম্প এক টুইটে ঘোষণা দেন, তিনি বাইডেনের অভিষেকে যাবেন না। এমন ঘটনা সবশেষ দেখা গিয়েছিল ১৮৬৯ সালে। তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড্রু জনসন তার উত্তরসূরীর অভিষেকে অংশ নেননি।
ট্রাম্প অনুষ্ঠানে না যাওয়ার এ ঘোষণায় বেশ খুশি বাইডেন। তিনি বলেছেন, এই একটা বিষয়েই তার (ট্রাম্প) সঙ্গে আমি একমত হতে পারছি। তবে ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সকে আগামী ২০ তারিখের ওই অনুষ্ঠানে সসম্মানে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন এ ডেমোক্র্যাট নেতা। তিনি বলেছেন, ভাইস প্রেসিডেন্টকে আসার জন্য স্বাগতম, তাকে পেলে আমি নিজেকে সম্মানিত বোধ করব।
ডোনাল্ড ট্রাম্পকে আবারও অভিশংসনের মুখে ফেলার খবরের বিষয়ে প্রশ্ন করলে বাইডেন বলেন, ট্রাম্প তার সম্পর্কে আমার খারাপ ধারণাকেও ছাড়িয়ে গেছেন। তিনি দেশের জন্য লজ্জা, গোটা বিশ্বের জন্য লজ্জা। তিনি অফিসে থাকার উপযুক্ত নন।
ক্যাপিটল ভবনে হামলা চালানো ট্রাম্পের উগ্র সমর্থকদের সঙ্গে কী করা হবে জানতে চাইলে যুক্তরাষ্ট্রের নব-নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট বলেন, তাদের সঙ্গে এমন আচরণ করতে হবে যেন তারা একদল দুষ্কৃত, বিদ্রোহী, শেতাঙ্গ আধিপত্যবাদী মাত্র। তারা সন্ত্রাসী, অভ্যন্তরীণ সন্ত্রাসী।
বাইডেনের অভিষেকের আর মাত্র ১১ দিন বাকি থাকলেও এখনও ভবিষ্যৎ মন্ত্রিসভার কোনও সদস্যের সিনেট থেকে অনুমোদন মেলেনি। তাই যত দ্রুত সম্ভব এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।