সভায় এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন পরবর্তী বাংলাদেশের বেসরকারী খাতের সম্ভাবনা, ভূমিকা ও সক্ষমতা, উদ্ভাবনের সুযোগ, এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন, অর্থনৈতিক বহুমুখীকরণ এবং ইনক্লুসিভ ডিজিটাল অর্থনীতির পাশাপাশি দেশের অর্থনীতিকে পরিবেশবান্ধব ও টেকসই রূপে পুনর্নির্মাণে বেসরকারী খাতের অবদান এর উপর আলোকপাত করা হয়।
মিস মিয়া সেপ্পো বলেন, জাতিসংঘ একটি মসৃণ ও টেকসই এলডিসি উত্তোরণে কারিগরি ও অর্থনৈতিক সহায়তা প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের সাথে আলাপ- আলোচনা করছে। জাতিসংঘ গ্র্যাজুয়েশনের প্রভাব যতটা কমিয়ে আনা সম্ভব তার যথোপযুক্ত ব্যবস্থা করার জন্য পরামর্শকের ভূমিকা পালন করছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ জাতিসংঘের একটি সক্রিয় সদস্য। বাংলাদেশের জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনীতে বাংলাদেশের একটি বড় অংশগ্রহণ রয়েছে। এবং বিশ্বের বৃহত্তম শরণার্থীর আশ্রয়দানকারী দেশও বাংলাদেশ।
সাক্ষাৎকালে ফজলে ফাহিম বলেন, এলডিসি উত্তোরণ মূল্যায়নের ২য় ত্রৈবাৎসরিক সূচকে বাংলাদেশ প্রয়ােজনের তুলনায় অনেক এগিয়ে রয়েছে। তিনি আরও বলেন যে, বৈশ্বিক মহামারী এবং প্রাকৃতিক দূর্যোগজনিত পরিস্থিতি বিবেচনায়, বাংলাদেশ ও অন্যান্য এলডিসি দেশসমূহ যারা এই বছর উত্তোরণ করবে তাদের উত্তোরণের সময়সীমা ৫ বছর বা তদূর্ধ্ব পর্যন্ত বর্ধিত করার জন্য আবেদন করা উচিত।
তিনি বলেন, এমএসএমই থেকে শুরু করে বৃহত্তম শিল্পে বাংলাদেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক ইকোসিস্টেমকে বিবেচনায় নিয়ে; এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন শেষে প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রাখতে, এসডিজি অর্জন করতে এবং বাংলাদেশকে একটি উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে প্রয়োজনীয় খাতগুলিতে প্রযুক্তিগত সহায়তার জন্য এফবিসিসিআই ইউএন সিস্টেমকে অনুরোধ করেছে। সহায়তার প্রধান ক্ষেত্রগুলি হবে গ্রামীণ অর্থনীতি, শিল্প ও বাজারের বৈচিত্র্যকরণ, মানসম্মতকরণ, নারী ও যুব উদ্যোক্তাদের জন্য সুবিধাদি বৃদ্ধি, সংগতিসাধন, উদ্ভাবন এবং অর্থনীতির সকল ক্ষেত্রে প্রযুক্তি সক্রিয়করণ।
তিনি আরও বলেন,এই ভাবনার সাথে সংগতি রেখে, সমসাময়িক এবং শিল্প সম্পর্কিত প্রাসঙ্গিক দক্ষতা এবং জনশক্তি তৈরির পাশাপাশি অর্থনীতির সকল ক্ষেত্রকে প্রযুক্তি সক্ষম করার লক্ষ্যে এফবিসিসিআই "এফবিসিসিআই টেক সি” সফট লঞ্চ করেছে। এই উদ্যোগেরই অংশ হিসেবে, এমআইটি-সলভ এবং এক্সিলারেটিং এশিয়ার সাথে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম ইনিশিয়েটিভটি এই মাসের শেষে শুরু করা যাবে বলে আশা করা যাচ্ছে।