করোনাভাইরাস সংক্রমণ কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসলে জরুরি অবস্থা তুলে দেয়া হবে বলে রাজকীয় বিবৃতিতে বলা হয়েছে। তবে মনে করা হচ্ছে, এই জরুরি অবস্থা যতটা না করোনাভাইরাসের কারণে তারচেয়ে বেশি প্রধানমন্ত্রী মুহিউদ্দিনকে স্বস্তি দেয়া। খবর খালিজ টাইমসের
তবে জরুরি অবস্থার সময়ে কীভাবে প্রতিদিনের কার্যক্রম চলবে বা এর কী প্রভাব রয়েছে সে বিষয়ে পরিষ্কার কিছু বলা হয়নি। তবে সংবিধান অনুযায়ী এই সময়ের মধ্যে সংসদ স্থগিত করেছে। এই সিদ্ধান্ত নেতৃত্বে চ্যালেঞ্জের মুখে থাকা মুহিউদ্দিনের রাজনৈতিক অনিশ্চিয়তার অবসান ঘটতে পারে।
সংসদে অল্প সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ২০২০ সালের মার্চ মাসে ক্ষমতায় আসার পর থেকে প্রধানমন্ত্রী মুহিউদ্দিন অত্যন্ত সঙ্কটাপন্ন অবস্থানে রয়েছেন। জোটের শরিকরা তাকে পদত্যাগ করার এবং তাড়াতাড়ি নির্বাচনের আহ্বান জানিয়ে আসছে।
রাজকীয় বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী মুহিউদ্দিন ইয়াসিন করোনা সংক্রমণ বাড়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করে জরুরি অবস্থা ঘোষণার অনুরোধ করেছিলেন।
মালয়েশিয়া একটি সাংবিধানিক রাজতন্ত্র। যেখানে রাজা অনেকটা আনুষ্ঠানিক ভূমিকা পালন করেন। সংবিধানের আওতায় প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভার পরামর্শ নিয়ে রাজা দায়িত্ব পালন করেন। সুরক্ষ, অর্থনীতি ও রাষ্ট্রীয় হুমকির কোনো বিষয়ে তিনি জরুরি অবস্থা জারি করতে পারেন।
এর আগে সোমবার তৃতীয় দফা করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে আবারও মালয়েশিয়ায় লকডাউনের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী।