এস্তোনিয়ার পাবলিক প্রসিকিউটরের তোলা অভিযোগের ভিত্তিতে বুধবার পদত্যাগের ঘোষণা দেন তিনি। যদিও রাতাস দাবি করেছেন, তিনি এ দুর্নীতির সঙ্গে কোনোভাবে সম্পৃক্ত নন।
এস্তোনিয়ার পাবলিক প্রসিকিউটরের অভিযোগ ছিল, সেক্রেটারি জেনারেল হিলার তাদেরসহ ক্ষমতাসীন সেন্টার পার্টির পাঁচ শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিত্ব এক মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে রিয়েল স্টেট ব্যবসায়ী হিলার তেদারকে তাল্লিনের অন্যতম প্রসিদ্ধ শপিং সেন্টার পোর্তো ফ্রাঙ্কোতে নিয়ম বহিৰ্ভূতভাবে গাড়ির পার্কিং নির্মাণের অনুমতি দিয়েছিলেন।
দেশটির চিফ অব পাবলিক প্রসিকিউটর তাভি পার্ন এক ফেসবুক পোস্টে উল্লেখ করেছেন, গত বছরের জানুয়ারির মাঝামাঝি সময় থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত প্রমাণের ভিত্তিতে আমরা সংগঠিত অপরাধের বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছি, এখন আমরা সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের ওপর তদন্ত কার্যক্রম শুরুর বিষয়ে চিন্তাভাবনা করছি।
ঘুষ গ্রহণের পাশপাশি তিনি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগও এনেছেন।
তবে প্রধানমন্ত্রী ইউরি রাতাস জানিয়েছেন, রাষ্ট্রপক্ষ হিসেবে পাবলিক প্রসিকিউটর অফিস ইতোমধ্যে যে অভিযোগ উত্থাপন করেছেন তার ভিত্তিতে এখনই নির্দিষ্টভাবে কাউকে দোষী বলার সুযোগ নেই। যদিও তাদের এ অভিযোগ ক্ষমতাসীন দলের ওপর সুদূরপ্রসারী প্রভাব সৃষ্টি করতে পারে।
তিনি আরও বলেন, এ ধরনের পরিস্থিতিতে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত ছিল আমার জন্য সবচেয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত। আশা করি এখন থেকে আমি নিরপেক্ষভাবে সামগ্রিক পরিস্থিতির ওপর পর্যবেক্ষণ রাখার সুযোগ পাব এবং যে কোনো প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও স্বচ্ছতার সঙ্গে যে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করার সুযোগ পাব। আমি এতটুকু বলতে পারি ক্ষমতায় থাকার সময় নিয়ম বহির্ভূতভাবে কোনো কিছুর অনুমোদন দিইনি।
২০১৬ সাল থেকে এস্তোনিয়ার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন ইউরি রাতাস। তিনি পদত্যাগ করায় দেশটির রাষ্ট্রপতিকে এখন তার স্থলাভিষিক্ত কাউকে নির্বাচিত করতে হবে।