দক্ষিণ কোরিয়ার প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট ছিলেন পার্ক। ভয়াবহ দুর্নীতির অভিযোগে তাকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয় ২০১৭ সালে। তিনিই তার দেশে প্রথম গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট, যাকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছে। তাকে আদালত ১৮০০ কোটি ওন বা এক কোটি ৭০ লাখ ডলার জরিমানা করেছিলেন। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট তাও বহাল রেখেছেন।
বিবিসি জানিয়েছে, তাকে প্রথমে আদালত প্রায় ৩০ বছরের জেল দিয়েছিল। জরিমানা করেছিল ২০০০ কোটি ওন। তবে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ পরে সেই জরিমানা কমিয়ে ১৮০০ কোটি ওন করে। একই সঙ্গে তার শাস্তি কমিয়ে দেয়। কিন্তু বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট যে রায় দিয়েছে তা চূড়ান্ত রায়।
২০১৮ সালে ১৮টি অভিযোগের মধ্যে ১৬টিতে তাকে অভিযুক্ত করা হয় পার্ককে। এর মধ্যে বেশির ভাগই ঘুষ ও জবরদস্তি সম্পর্কিত। আদালত রায় দেয় যে, তিনি ঘনিষ্ঠ বন্ধু চোই সুন-সিনের সঙ্গে মিলে দুর্নীতি করেছেন। এর মাধ্যমে তিনি জায়ান্ট প্রযুক্তিবিষয়ক প্রতিষ্ঠান স্যামসাং এবং রিটেইল চেইন লোটে’কে লাখ লাখ ডলার দিয়েছেন। এ ছাড়া বিভিন্ন কোম্পানিকে লোভনীয় চুক্তি করাতে বাধ্য করেন তিনি। এসব কোম্পানির মালিকানা চোইয়ের। এ ছাড়া তিনি চোই এবং তার মেয়েকে উপহার দিয়েছেন বিপুল অর্থ।