পরিসংখ্যান বলছে, গত বছর জিডিপি ৬ শতাংশের কম সংকুচিত হয়েছিল; যা শেষ প্রান্তিকে গিয়ে বাড়ার ইঙ্গিত দিয়েছিল। বিপরীতে অর্থনৈতিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী ফ্রান্স ও ইতালির সারা বছরের হ্রাস ছিল ৯ শতাংশ এবং স্পেনের জন্য সেটি ছিল ১১ শতাংশের বেশি।
দুর্ভাগ্যজনকভাবে বছরের প্রথম প্রান্তিকের শুরুটা হয়েছে বেশ দুর্বলভাবে। এ সময়ের মাঝে লকডাউন আরো বিস্তৃত হয়েছে এবং সামগ্রিকভাবে গোটা ইউরোজোন দ্বিতীয় পর্যায়ের মন্দার ভেতর দিয়ে যাচ্ছে। তবে এর পরও জার্মানির বুন্দেসব্যাংক ভ্যাকসিনেশন বাড়ার সঙ্গে স্থিতিশীল পুনরুদ্ধারের ব্যাপারে আশাবাদী।
ইউরোপের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশটি কীভাবে এখন পর্যন্ত বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে টিকে আছে তা মিউনিখভিত্তিক ড. সাসেস এজির দিকে তাকালে বোঝা যাবে। যারা চারটি দেশে নিজেদের পরিচ্ছন্নতা সেবা দিয়ে থাকে। এ কোম্পানি গত বছর বিক্রির ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছিল এবং কর্মীদের জন্য স্বল্প কর্মঘণ্টা নির্ধারণ করেছিল। প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা এবেরহার্ড সাসেস বলেন, তারা ক্ষত বহন করেই টিকে আছে।
তিনি আরো বলেন, পরের কয়েক বছর বেশ চাহিদাসম্পন্ন হতে যাচ্ছে। ২০২১ সাল তাই সংকটের বছর হবে না। কিন্তু আমরা যেখানে যেতে চাই, সেখানে যেতে হলে আমাদের সক্রিয়ভাবে পরিবর্তন আনতে হবে।
গত মার্চে চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল বলেছিলেন, নভেল করোনাভাইরাস মহামারী থেকে বেরিয়ে আসার জন্য জার্মানির যা যা প্রয়োজন, তার সবই করা হবে। এর মাঝে এবেরহার্ড নিজেও একটি ভিডিওবার্তাও পাঠান তার কর্মচারীদের জন্য। যেখানে তিনি বলেন, টিকে থাকা নিশ্চিত করতে সব আর্থিক সংস্থান নিশ্চিত করবেন তিনি।
এখানে কর্মীদের বেতন দেয়ার জন্য সরকারের ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভর হওয়ার বিষয়ও রয়েছে এবং সম্ভাব্য সব জায়গা থেকে রাজস্ব আদায়ের জন্য পরিচালনা কর্মকাণ্ডে পুনর্মনোযোগ দেয়াও অন্তর্ভুক্ত।
প্রতিষ্ঠানগুলো অবশ্য অঞ্চলের সবচেয়ে উদার আর্থিক প্যাকেজ দ্বারা সাহায্যপ্রাপ্ত হয়েছিল। যাকে অর্থমন্ত্রী ওলাফ স্কুলজ রোমাঞ্চকর ও উদ্দীপনাময় বলে মন্তব্য করেছিলেন। এদিকে জার্মান সরকারের নেয়া এ উদ্যোগের পক্ষ থেকে গত বছর হ্রাসকৃত স্তরে কাজ করা কোম্পানিগুলোকে বেতন দেয়ার জন্য ২৭ বিলিয়ন ডলার ভর্তুকি দেয়া হয়েছিল। যেখানে প্রায় ১ দশমিক ৯৫ মিলিয়ন কর্মী ডিসেম্বরে রাষ্ট্রীয় বেতন সহায়তা পেয়েছেন। সূত্র ব্লুমবার্গ