এমন একটি খামার পরিদর্শনে গিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, গুঁড়া দুধ উৎপাদনে কেউ যদি খামার-কারখানা করতে চান, যারা এগিয়ে আসবেন, রাষ্ট্র তাদের সহায়তা দেবে। শুল্ক বা কর নিয়ে কোনো অসুবিধা হবে না।
একটি খামার, যেখানে প্রত্যেকটি গাভির গায়ে বসানো হয়েছে তিনটি আইওটি সেন্সর বা ডিভাইস, যা কিনা নিশ্চিত করবে গাভির সুস্বাস্থ্য। শুনতে অবাক লাগলেও প্রযুক্তির এমন ব্যবহার দেখা যাবে রংপুরের এক খামারে, যাকে বলা হচ্ছে হাইটেক দুগ্ধ খামার।
বিশেষ সফটওয়্যারে নিয়ন্ত্রিত এসব সেন্সরের মাধ্যমে গাভির চলাফেরা, খাদ্যাভ্যাস, শারীরিক অবস্থা, দুধ দোহনের পরিস্থিতি, ওষুধের সঠিক ব্যবহার, মনিটরিং করা হচ্ছে সবকিছুই। এমনকি প্রজননের সময় আসলেও তা জানান দেবে সেন্সর। স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে খামারে চাষ করা কাঁচা ঘাস ও খড়সহ অন্যান্য খাদ্য উপাদান টিএএমআর মেশিনের মাধ্যমে মিশ্রিত করে তাৎক্ষণিকভাবে গাভি ও বাছুরকে খাওয়ানো হচ্ছে। আটজনের টিম নিয়ে যার পুরো তদারকি করছেন নেদারল্যান্ডসের একজন পশু চিকিৎসক। উদ্যোক্তারা বলছেন, সকাল-বিকেল দুই দফায় সর্বোচ্চ ৩৭ লিটার করে দুধ দেয় প্রতিটি গাভি।
ইয়ন গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোমিন উদ দৌলা বলেন, কোনো গরু অসুস্থ হলে সেন্সর সেটি জানিয়ে দেবে। মাত্র ৮ মিনিটের মতো লাগে দুধ সংগ্রহ করতে। পাম্পের মাধ্যমে নির্দিষ্ট মেশিনে দুধ চলে যায়, তারপর পাস্তুরির করা হয়।
বর্তমানে দেশে বছরে ৩-৪ হাজার কোটি টাকার গুঁড়ো দুধ আমদানি করা হয়, এই নির্ভরতা কমাতে চায় সরকার।