শনিবার (১৬ জানুয়ারি) বিবিসির খবরে বলা হয়, ইউরোপের ছয়টি দেশ এ পরিস্থিতিকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ বলে মন্তব্য করেছে। এটি ভ্যাকসিন প্রয়োগের ব্যাপারে মানুষের আস্থা কমিয়ে দেবে।
সুইডেন, ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, লিথুনিয়া, লাটভিয়া ও এস্তোনিয়া ভ্যাকসিন সরবরাহের জন্য ফাইজার-বায়োএনটেককে চাপ দিতে ইইউকে আহ্বান জানিয়েছে।
তবে ফাইজার বলছে, উৎপাদন বাড়াতে উৎপাদনপ্রক্রিয়ায় পরিবর্তন আনায় ভ্যাকসিনের চালান কিছুটা কমেছে। জানুয়ারি মাসের শেষ থেকে ফেব্রুয়ারি মাসের শুরু পর্যন্ত সাময়িকভাবে এই প্রভাব থাকবে। তবে ফেব্রুয়ারির শেষে ও মার্চে রোগীদের জন্য চালান বাড়বে ও ভ্যাকসিন সহজলভ্য হবে।
জার্মানির স্বাস্থ্যমন্ত্রী ফাইজারের এ ঘোষণাকে বিস্ময়কর বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি পর্যন্ত টিকা দেয়া হবে বলে ফাইজার ঘোষণা দিয়েছিল। কিন্তু এখন ভিন্ন কথা বলছে।
ইইউ কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লিয়েন বলেছেন, ‘ফাইজারের প্রধান নির্বাহী তাকে জানিয়েছেন যে, বছরের প্রথম তিন মাসে সব ভ্যাকসিন পৌঁছে যাবে। এ বছর ৬০ কোটি ডোজ সরবরাহ করতে ফাইজার সম্মত হয়েছে। প্রথমে যে পরিমাণ চাওয়া হয়েছিল এটি তার চেয়ে দ্বিগুণ।
লিথুনিয়া বলেছে, ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝিতে যে পরিমাণ ভ্যাকসিন দেয়ার প্রতিশ্রুতি ফাইজার দিয়েছিল, তার মাত্র অর্ধেক এসে পৌঁছেছে।
ইউরোপীয় কমিশন আরও পাঁচটি ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানির সঙ্গে চুক্তিতে পৌঁছেছে। তাদের কাছ থেকে কয়েক লাখ ভ্যাকসিন কিনবে ইইউ। এই পাঁচটি প্রতিষ্ঠান হলো অ্যাস্ট্রেজেনেকা, স্যানোফি-জিএসকে, জনসন অ্যান্ড জনসন, কিউরভ্যাক ও মডার্না। ইইউ নোভাভ্যাক্সের সঙ্গেও ২০ কোটি ভ্যাকসিন আনার ব্যাপারে কথা বলেছে।