নিরাপদভাবে বার্তা আদান-প্রদানকারী অ্যাপটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান তুরস্কের বৃহত্তম রাষ্ট্রীয় টেলিকম সংস্থা ‘তুর্কসেল’। বিআইপি ২০১৩ সালে চালু হয়ে কয়েক বছরের ব্যবধানে ১৯২টি দেশে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।
গত ৬ জানুয়ারি হোয়াটসঅ্যাপ নিজেদের পলিসিতে পরিবর্তন আনে। এরপর থেকেই গত কয়েকদিনে গড়ে প্রতিদিন প্রায় ২০ লাখ ব্যবহারকারী বিআইপি ইনস্টল করেছেন। গত শুক্রবার থেকে ৬৪ লাখ ব্যবহারকারী হোয়াটঅ্যাপস ছেড়ে বিআইপিতে যোগদান করেছেন। বর্তমান পরিবেশে বিআইপি নিরাপদ স্থান হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।
গত রোববার ব্যক্তিগত তথ্য পাচারের আশঙ্কায় তুরস্কের প্রেসিডেন্ট কার্যালয় মার্কিন অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ বন্ধ করে দেশীয় অ্যাপটি চালু করার ঘোষণা দেয়। এরপর থেকেই তুর্কি লোকজন মার্কিন অ্যাপ হোয়আটস অ্যাপ ছেড়ে বিআইপি ব্যবহার শুরু করেন। প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের ওই বিবৃতির পর ২৪ ঘণ্টায় বিআইপির গ্রাহক সংখ্যা বাড়ে ১১ লাখ ২০ হাজার।
একই সাথে মুসলিম বিশ্বের ব্যবহারকারীদের মাঝেও অ্যাপটি ব্যবহারের বৃদ্ধি ঘটেছে। বাংলাদেশে অনেককে অ্যাপটি ইনস্টল করার পাশাপাশি অন্যদেরকেও উৎসাহিত করতে দেখা গেছে। তুরস্কের স্থানীয় অ্যাপটির ডাউনলোডকারীর সংখ্যা ৬ কোটি ছাড়িয়েছে। কয়েক মাসের মধ্যে ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১০ কোটি ছাড়াবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এদিকে, হোয়াটসঅ্যাপ নিজেদের প্রাইভেসি পলিসিতে বিতর্কিত পরিবর্তন আনার পর বিশ্বের অন্যান্য প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাপগুলোর ব্যবহারকারীর সংখ্যাও ব্যাপক হারে বেড়েছে। রাশিয়ায় জন্মগ্রহণকারী টেলিগ্রামের প্রতিষ্ঠাতা পাবেল দ্রুভ মঙ্গলবার জানান, বিগত ৭২ ঘণ্টায় তাদের নতুন ব্যবহারকারী বেড়েছে আড়াই কোটি। বর্তমানে বিশ্বব্যাপী অ্যাপটির ৫০ কোটির অধিক সক্রিয় ব্যবহারকারী রয়েছে।
জার্মানি হচ্ছে বিআইপির অন্যতম বৃহত্তম সক্রিয় বাজার। ফ্রান্স ও ইউক্রেনেও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ অ্যাপটি ডাউনলোড করেছেন। ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যে অ্যাপটির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। বর্তমানে অ্যাপটির মাসিক সক্রিয় ব্যবহারকারীর সংখ্যা এক কোটি বলে জানান তিনি।