অভিবাসন থেকে শুরু করে জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বিষয়ে গত চার বছরে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের অবস্থান থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর আয়োজন থাকছে এসব নির্বাহী আদেশে। আসন্ন বাইডেন প্রশাসনের চিফ অব স্টাফ রন ক্লেইনের বরাত দিয়ে সিএনএনসহ একাধিক মার্কিন সংবাদমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে।
রন ক্লেইনের স্মারক উল্লেখ করে নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, নির্বাচনী প্রচারের সময় বাইডেন যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তা রক্ষা করার প্রথম প্রমাণ শুরুর দিনেই জানান দেওয়ার চেষ্টা করা হবে।
মুসলিমপ্রধান বিভিন্ন দেশ থেকে আমেরিকায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞাসংক্রান্ত ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশটি প্রথম দিনই বাতিল করবেন বাইডেন।
জলবায়ু-সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে এনেছিলেন ট্রাম্প। বাইডেন তাঁর প্রথম কর্মদিবসেই এই চুক্তিতে ফিরে যাওয়ার ঘোষণা দেবেন।
বাইডেন প্রশাসনের প্রথম কর্মদিবসের নির্বাহী আদেশের মধ্যে আরও রয়েছে—করোনা পরিস্থিতি চলাকালীন শিক্ষা ঋণ পরিশোধ স্থগিত রাখার নির্দেশ। অর্থনৈতিক কারণে বাড়ি ভাড়া দিতে না পারার কারণে ভাড়াটেদের উচ্ছেদ স্থগিত রাখার আদেশ।
বাইডেন আগেই জানিয়েছেন, তিনি তাঁর ক্ষমতার প্রথম দিনেই নির্বাহী আদেশে ফেডারেল স্থাপনায় মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করবেন।
প্রেসিডেন্টের নির্বাহী আদেশ ছাড়াও সরকারের বিভিন্ন বিভাগের প্রতি বাইডেনের নির্দেশনামূলক কিছু আদেশ জারি করা হবে বলে জানিয়েছেন রন ক্লেইন।
ক্ষমতার ১০০ দিনের মধ্যে ব্যাপক অভিবাসন সংস্কার আইন নিয়ে কাজ করার জন্য আইনপ্রণেতাদের কাছে প্রস্তাব তুলে ধরবেন বাইডেন।
আমেরিকার ভেঙে পড়া অভিবাসন-ব্যবস্থাকে ট্রাম্প একের পর এক নির্বাহী আদেশ জারি করে আরও জটিল করে তুলেছেন। বাইডেন প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তিনি লাখ লাখ নথিপত্রহীন অভিবাসীর জন্য আমেরিকার নাগরিকত্বের পথ উন্মুক্ত করবেন।
প্রেসিডেন্ট হিসেবে বাইডেন প্রথম সপ্তাহের আইনপ্রণয়ন প্রক্রিয়ায় করোনা পুনরুদ্ধারে তাঁর ১ দশমিক ৯ ট্রিলিয়ন ডলারের প্রস্তাবটি নিয়ে কংগ্রেসকে সক্রিয় করার উদ্যোগ নেবেন।
বাইডেন বক্তৃতায় স্পষ্ট করেছেন, তাঁর প্রথম আইনপ্রণয়নের উদ্যোগের মাধ্যমে আমেরিকার অর্থনৈতিকভাবে বিপর্যস্ত নাগরিকদের সহযোগিতায় আইন পাস করা হবে।