রোববার (১৭ জানুয়ারি) রাজধানীর একটি হোটেলে স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীন প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্যোগে ‘স্ট্রেংদেনিং দ্য আরবান লোকাল গভর্নমেন্টস ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক জাতীয় নীতি সংলাপ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা জানান।
তিনি বলেন, সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা তাদের নিজস্ব আইন অনুযায়ী চলে এবং নিজেদের আয়ে পরিচালিত হবে এমনটাই আইনে বলা আছে। দেশের বেশিরভাগ পৌরসভা তাদের স্টাফদের বেতন দিতে পারে না উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, যেসব পৌরসভা তাদের কর্মচারীদের ১২ মাস পর্যন্ত বেতন দিতে পারবে না তাদের পরিষদ ভেঙে দেয়ার লক্ষ্যে পৌরসভার আইনকে সংশোধন করার উদ্যোগ নেয়া হবে।
এ সময় মানুষ পৌরসভায় ট্যাক্স দিতে পারেন না এমন কথা বিশ্বাসযোগ্য নয় বলেও মন্তব্য করেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী। সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভাগুলোতে নিজস্ব আয় বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব আরোপ করে মন্ত্রী বলেন, করোনা মহামারীর সংকট মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রীর তহবিল এবং মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে অনেক অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
মন্ত্রী আরো বলেন, শহরের সব সুযোগ সুবিধা গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌঁছে দেয়ার নির্দেশনা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিয়েছেন। পুরো দেশই শহরে রূপান্তরিত হবে। আর শহরের সুযোগ-সুবিধা গ্রামে পৌঁছে গেলে ঢাকায় আর মানুষকে থাকতে হবে না। জনগণ শহরের সব আধুনিক সুযোগ-সুবিধা হাতের নাগালেই পাবে ।
ঢাকাকে বসবাসযোগ্য, আধুনিক ও দৃষ্টিনন্দন করতে হলে, জোন ভিত্তিক স্কুল-কলেজ, হাসপাতাল, রাস্তা, ওয়াটার বডিসহ অন্যান্য ইউটিলিটি সার্ভিস সরবরাহ করতে হলে নতুন করে পরিকল্পনা নিতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, অপরিকল্পিতভাবে আর ভবন নির্মাণ করতে দেয়া হবে না। কোথায় সুউচ্চ ভবন হবে, কোথায় কমার্শিয়াল এরিয়া হবে সব পক্ষের মতামত নিয়ে সুপরিকল্পিতভাবে বাস্তবতার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
পিপিআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. হোসেন জিল্লুর রহমানের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন, ইউএনডিপি বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখার্জী বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন।