জিম্বাবুয়েও আরও একবার টাইগার স্পিন বিষেই নীল হলো। নাঈম হাসান ও তাইজুল ইসলাম ঘূর্ণিতে মিরপুর টেস্টে চতুর্থ দিনের দ্বিতীয় সেশনের শুরুতেই বাংলাদেশ তুলে নিল ইনিংস ও ১০৬ রানের বড় জয়। টেস্টে যা বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংস জয়ের কীর্তি। এর আগে ২০১৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে রেকর্ড গড়ে ইনিংস ও ১৮৪ রানের জয় তুলে নিয়েছিল বাংলাদেশ।
চতুর্থ দিনের শেষ বেলায় বাংলাদেশ ২৯৫ রানের লিড নিয়ে ইনিংস ঘোষণা করে। মুমিনুল হকের করা ১৩২ রান এবং দলের সেরা ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিমের ২০৩ রানে ভর করে ৬ উইকেট হারিয়ে ৫৬০ রান তোলে বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ের প্রথম ইনিংসে করা ২৬৫ রান শোধ দিয়ে নেয় বড় লিড। তারপরও মুশফিকের আক্ষেপ ছিল। ট্রিপল সেঞ্চুরির একটা ভালো সুযোগ এসেছিল তার সামনে। ক্যারিয়ার তিনটি ডাবল সেঞ্চুরি করলেও ব্যক্তিগত রানটা বড় হয়নি কোনবার।
তবে আবহাওয়া খুব একটা ভালো ছিল না। সোমবারসহ টেস্টের চতুর্থ ও পঞ্চম দিনে ছিল বৃষ্টির পূর্বাভাস। মুমিনুলরা তাই কিছুটা এগিয়ে থাকতে চেয়েছিলেন। মঙ্গলবার সকাল থেকে থেমে থেমে ছিটে ফোঁটা বৃষ্টিও পড়েছে। কিন্তু ম্যাচে তা ফেলতে পারেনি বিশেষ প্রভাব। বরং তৃতীয় দিনের শেষ বেলায় ৯ রানে দুই উইকেট হারানো জিম্বাবুয়ে চতুর্থ দিন মেঘলা দিনে নাঈম হাসান ও তাইজুল ইসলামের ঘূর্ণিতে বিপাকে পড়ে যায়। মিরপুরের শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার শুরু থেকে জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যানদের চেপে ধরে বাংলাদেশি স্পিনাররা। ৫৭.৩ ওভারে ১৮৯ রানে তুলে নেয় জিম্বাবুয়ের সবকটি উইকেট।
চতুর্থ দিন ব্যাটে নামা জিম্বাবুয়ে ষষ্ঠ ওভারে দিনের প্রথম উইকেট হারায়। স্পিনার তাইজুল ইসলামের বলে কেভিন কাসুজা ফিরে যান। এরপর জিম্বাবুয়ের দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান ব্রেন্ডন টেইলর ও অধিনায়ক ক্রেগ আরভিনের জুটি গড়তে হতো। তারা আশাও দিচ্ছিলেন। কিন্তু ১৭ রান করা টেইলরকে সাজঘরে ফেরান নাঈম হাসান। শুরুর গুরুত্বপূর্ণ চারটি উইকেট পতনের পর জুটি গড়ার চেষ্টায় ছিলেন ক্রেইগ আরভিন। কিন্তু তিনি ফিরে যান রান আউটে। প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি করা আরভিন করেন ৪৩ রান।
আরভিন ফিরে যেতেই যেন জিম্বাবুয়ে ইনিংস হার দেখতে শুরু করেন। পরে সিকান্দার রাজা কিংবা মারুমারা মেঘলা আকাশে অন্ধকার হয়ে আসা পরিবেশ দলকে একটু আলো দেখান। কিন্তু রাজা ৩৭ রান করে এবং টিমিসেন মারুমা ৪১ রান করে আউট হলে সব আশা শেষ হয়ে যায় তাদের। পরের উইকেট তিনটি পেতে বেগ পেতে হয়নি নাঈম-তাইজুলের। বাংলাদেশ দলে থাকা দুই স্পিনার নাঈম এবং তাইজুল মিলে তুলে নেন জিম্বাবুয়ের সবকটি উইকেট। প্রথম ইনিংসে চার উইকেট নেওয়া নাঈম হাসান দ্বিতীয় ইনিংসে তুলে নেন পাঁচ উইকেট। তাইজুল ইসলাম প্রথম ইনিংসে শেষের দুটি উইকেট নেন। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে তিনি তুলে নেন প্রতিপক্ষের চার উইকেট।