সন্ত্রাসবাদ সমর্থন ও ইরানের খুব নিকটবর্তী থাকার অভিযোগ তুলে কাতারের সঙ্গে অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে। অবরোধের কারণে স্থল, সমুদ্র ও আকাশপথে কাতারের সঙ্গে এ চার দেশের সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। অবশেষে চলতি মাসের শুরুতে সৌদি আরবের মরুভূমির শহর আল-উলায় ছয় সদস্যের উপসাগরীয় জোট জিসিসির সদস্য দেশগুলোর মধ্যে একটি সংহতি চুক্তির মাধ্যমে এ অবরোধ তুলে নেয়া হয়।
এরপর সোমবার প্রথম একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইট দোহা থেকে কায়রোর উদ্দেশে ছেড়ে যায়। ফ্লাইটটি কায়রো বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এর আগে কাতার থেকে এয়ার অ্যারাবিয়ার একটি ফ্লাইট ইউএইর শারজাহ বিমানবন্দরে অবতরণ করেছিল।
সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রায় তিন লাখ মিসরীয় কাতারকে নিজেদের বাড়ি মনে করে এবং অনেকেই দীর্ঘ এ সংকট চলাকালীন দেশটিতে ভ্রমণ করতে পারছিল না। গত বছরের মে মাসে হতাশ মিসরীয়রা তত্কালীন শূন্য দূতাবাসের বাইরে প্রতিবাদ করেছিল। এ বিক্ষোভের পর ১৮টি প্রত্যাবাসন ফ্লাইট নিরপেক্ষ দেশ ওমানের মাধ্যমে কাতারে পরিচালিত হয়েছিল।