করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও প্রাণহানির পরিসংখ্যান রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্যানুযায়ী, শনিবার (২৩ জানুয়ারি) সকাল পর্যন্ত বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন নয় কোটি ৮৭ লাখ ৩৭ হাজার ৫০২ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ২১ লাখ ১৬ হাজার ১৬৬ জনের। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন সাত কোটি নয় লাখ ১২ হাজার ২০৮ জন।
করোনায় এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও মৃত্যু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। তালিকায় শীর্ষে থাকা দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন দুই কোটি ৫৩ লাখ ৯০ হাজার ৪২ জন। মৃত্যু হয়েছে চার লাখ ২৪ হাজার ১৭৭ জনের।
আক্রান্তে দ্বিতীয় ও মৃত্যুতে তৃতীয় অবস্থানে থাকা ভারতে এখন পর্যন্ত সংক্রমিত হয়েছেন এক কোটি ছয় লাখ ৪০ হাজার ৫৪৪ জন এবং মারা গেছেন এক লাখ ৫৩ হাজার ২২১ জন।
আক্রান্তে তৃতীয় এবং মৃত্যুতে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে এখন পর্যন্ত করোনায় ৮৭ লাখ ৫৫ হাজার ১৩৩ জন সংক্রমিত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে দুই লাখ ১৫ হাজার ২৯৯ জনের।
আক্রান্তের দিক থেকে রাশিয়া চতুর্থ স্থানে রয়েছে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩৬ লাখ ৭৭ হাজার ৩৫২ জন। ভাইরাসটিতে মারা গেছে ৬৮ হাজার ৪১২ জন।
আক্রান্ত ও মৃত্যুর হিসেবে যুক্তরাজ্য বিশ্বে পঞ্চম স্থানে রয়েছে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৩৫ লাখ ৮৩ হাজার ৯০৭ জন। এর মধ্যে মারা গেছে ৯৫ হাজার ৯৮১ জন।
এদিকে আক্রান্তের তালিকায় ফ্রান্স ষষ্ঠ, স্পেন সপ্তম, ইতালি অষ্টম, তুরস্ক নবম এবং জার্মানি দশম স্থানে আছে। এ ছাড়া বাংলাদেশের অবস্থান ২৭তম।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার (২২ জানুয়ারি) পর্যন্ত বাংলাদেশে মোট ৫ লাখ ৩০ হাজার ৮৯০ জনের দেহে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। আজ পর্যন্ত করোনায় মোট ৭ হাজার ৯৮১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। চীনে করোনায় প্রথম কোনো রোগীর মৃত্যু হয় চলতি বছরের ৯ জানুয়ারি। তবে তার ঘোষণা আসে ১১ জানুয়ারি।
চলতি বছরের ১৩ জানুয়ারি চীনের বাইরে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় থাইল্যান্ডে। পরে বিভিন্ন দেশে করোনা ছড়িয়ে পড়ে।
করোনার প্রাদুর্ভাবের পরিপ্রেক্ষিতে ৩০ জানুয়ারি বৈশ্বিক স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।