এ উপলক্ষে রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান মো. ইউনুসুর রহমান।
এসময় পরিচালনা পর্ষদের সদস্যগণ ও ডিএসই’র ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ উপস্থিত ছিলেন।
রোববার (২৪ জানুয়ারি) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ লি. থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমনটি জানানো হয়।
এতে বলা হয়, মোস্তাফিজুর রহমান ২০১৯ সালের ২৬ শে জুন ডিএসইতে স্বতন্ত্র পরিচালক হিসাবে যোগদান করেন। ডিএসই’র একজন স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে তিনি পুরো কার্যকালীন সময় জুড়ে বিচক্ষণ নির্দেশিকার মাধ্যমে পরিচালনা পর্ষদ এবং ম্যানেজমেন্টকে সমৃদ্ধ করেছেন৷ এছাড়াও তিনি রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স কমিটি, নমিমেশন এন্ড রেমুনারেশন কমিটি, আইপিও রিভিউ টিমের একজন সক্রিয় সদস্য হিসেবে এবং আপিল কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে উনার সৃজনশীল চিন্তাভাবনা ও তাঁর সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিল সত্যিই প্রশংসনীয়৷ তিনি অত্যন্ত দক্ষতা ও সফলতার সাথে তার উপর অর্পিত দায়িত্ব সম্পন্ন করেন। তার এই কর্মকাণ্ডের জন্য ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ সব সময়ই তাকে স্মরণ রাখবে।
বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- ডিএসই’র স্বতন্ত্র পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. মাসুদুর রহমান, সালমা নাসরীন এনডিসি, মো. মুনতাকিম আশরাফ, হাবিবুল্লাহ বাহার, অধ্যাপক ড. এ. কে. এম. মাসুদ, শেয়ারহোল্ডার পরিচালকবৃন্দ- মো. রকিবুর রহমান, মো. শাকিল রিজভী, মোহাম্মদ শাহজাহান, এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) আবদুল মতিন পাটওয়ারী।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- ডিএসইর প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা জিয়াউল করিম, প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা এম সাইফুর রহমান মজুমদার, জিএম মো. ছামিউল ইসলাম, জিএস অ্যান্ড কোম্পানি সচিব মোহাম্মদ আসাদুর রহমান, উপ মহাব্যবস্থাপক মো. শফিকুর রহমান এবং সিনিয়র ম্যানেজার এস এম শহীদুল্লাহ৷
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বিগত দেড়বছর যাবত ডিএসইতে সুষ্ঠুভাবে দায়িত্ব পালন করতে পেরে সৃষ্টিকর্তার কাছে কতৃজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি৷ তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্মরণ করে বলেন, যার স্বপ্নের কারণে আমরা বাংলাদেশ পেয়েছি, আর বাংলাদেশ পেয়েছি বলেই আজ বোর্ড অব ডিরেক্টরে আমরা বাঙালিরা বসে আছি, তা না হলে এখানে আজকে হয়ত কোন পাঞ্জাবি বিগ্রেডিয়ার থাকত। সকল বোর্ড অব ডিরেক্টররা বা চেয়ারম্যানও হয়ত হতেন কোন মারওয়ারী, পাঞ্জাবি। সে জন্য শোকরিয়া আদায় করেন। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর প্রতিও তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
তিনি আরও বলেন, ডিএসই অর্থনীতির প্রতীক হিসেবে সবার কাছে বিরাজমান এবং বাংলাদেশের অর্থনীতির একটা ভিওি হিসেবে তিনি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে অখ্যায়িত করে বলেন, যোগদানের পরে বোর্ডের সকল সদস্য আমাকে সাদরে গ্রহণ করেন এবং সহযোগিতা পূর্ণ আচরণ করেন।
কাজী ছানাউল হক দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে যোগদান করেন।
তিনি বলেন, আমার সকল সামর্থ দিয়ে চেষ্টা করেছি এক্সচেজ্ঞের স্বার্থে সকলের সাথে কাজ করতে। তিনি তার দায়িত্ব পালনকালে সর্বাত্মক সহায়তার জন্য ডিএসই’র পরিচালনা পর্ষদ, বিএসইসি, ডিএসই’র শেয়ারহোল্ডার ও ট্রেকহোল্ডার, পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, ডিএসই’র ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষসহ সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা কর্মচারী এবং সাংবাদিকদের প্রতি কতৃজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন৷
তিনি ডিএসইতে যোগদানের পূর্বে কর্মসংস্থান ব্যাংকে ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন৷ তার আগে তিনি রাষ্ট্রায়ত্ত বিনিয়োগকারী সংস্থা ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অফ বাংলাদেশ-এ ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন৷ এ ছাড়াএ তিনি রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন বোর্ডর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও অগ্রণী ব্যংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন৷