পদত্যাগের কারণ সম্পর্কে সুভদ্রা বলেন, আমি ২০১৩-তে বিজেপি যোগ দেই। ওই সময় মোদীজিকে দেখে অত্যন্ত উদ্বুদ্ধ হয়েছিলাম যে একটা মানুষ আমার দেশের জন্য, দশের জন্য এতটা ভাবছে। আমি ভেবেছিলাম তার স্বপ্নকে সত্যি করার জন্য, তার পায়ের তলার কর্মী হয়ে আমি কাজ করব। আমি বরাবর ওইভাবেই দলে থেকেছি। কোনোদিন কোনো পদ চাইনি। আমি নিজেকে সাধারণ কর্মীই মনে করি। কিন্তু তার যে ভাবনা দেখে আমি প্রলুব্ধ হয়ে রাজনীতিতে এসেছিলাম, সেগুলো আর চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছি না, সবকিছু বিধ্বংসী লাগছে! ২০১৯-এর পরে যেন সব বদলে গিয়েছে।
কিন্তু ঠিক এই সময়টায় এসে তিনি কেন বিজেপি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিলেন? প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, সব মানুষরাই তো দেখছে যে ভারত কীভাবে জ্বলছে। আমাদের দেশের সম্পর্কে বলা হতো, বিভেদের মাঝে থাকে মিলন মহান। এতগুলো ভাষার লোক, এতগুলো জাতির লোক এই দেশে বাস করে। কবিতায় তো সেই কথাই বলা রয়েছে। সেই ভারতে আজ কী হচ্ছে। আমাদের সন্তানরা কী দেখবে, খালি হিংসা ও মারপিট? আমরা দেশের কথা ভুলে যাচ্ছি। দেশের উন্নয়ন প্রয়োজন, সে সব কথা ভুলে যাচ্ছি।
নিজের রাজনীতিতে যোগ দেয়ার কারণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি রাজনীতিতে আসার অনেক আগে থেকেই সোশাল ওয়ার্ক করি, এখনও করে যাচ্ছি। মানুষের কষ্টের পাশে বরাবর দাঁড়াতে ভালবাসি। ওটা রক্তের মধ্যে মিশে যায়। আমি রাজনীতি অত বুঝি না। আমি ভীষণই সাধারণ। একদম পায়ের তলায় থেকে মানুষের জন্য কাজ করব ভেবেই আসা। এমপি নির্বাচনের সময় আমাকে বলা হয়েছিল দাঁড়াতে। আমি বলেছিলাম আমি রেডি নই। কোনোদিন কোনো পদ পাব বলে বিজেপি-তে আসিনি।
কিন্ত ইদানীং মাথার উপরে যাঁরা রয়েছেন, তারা নানান পন্থী হয়ে গিয়েছেন। আমি সরল মানুষ। মোদীজির যে কথা আমাকে উদ্বুদ্ধ করত যে দেশ বড় হবে… ‘আচ্ছে দিন আয়েঙ্গে’। কিন্তু দেশ কোথায় এসে দাঁড়িয়েছে? চারদিকে কালো ধোঁয়া ছাড়া তো আর কিচ্ছু নেই। একটা ন-মাসের বাচ্চাকে পুড়িয়ে মারা হলো! মনুষ্যত্ব হারিয়ে ফেলে দেশ কী করে এগোবে? আমি জানি না কারা করছে এই কাজ, কিন্তু কোনো একজন মানুষ তো করেছে। কোন দিকে যাচ্ছি আমরা?