যে সকল গ্রাহকরা বিপ্রপার্টির মাধ্যমে হোম লোন আবেদন করবেন তারা কম প্রসেসিং ফি এবং দ্রুত প্রসেসিং এর সুযোগ সুবিধাসহ আরও অনেক পরিষেবা ভোগ করতে পারবেন।
বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) গুলশান এভিনিউয়ের আইপিডিসি ফাইনান্সের কর্পোরেট অফিসে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিটি স্বাক্ষর করেছেন বিপ্রপার্টির জেনারেল ম্যানেজার সৈয়দ আশিকুর রাহমান রিয়ান এবং আইপিডিসি ফাইনান্সের হেড অফ রিটেইল বিজনেস (ভারপ্রাপ্ত) সাবরিনা আরিফিন।
এই চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, আইপিডিসি ফাইনান্সের সিইও মমিনুল ইসলাম, হেড অফ প্রোডাক্ট মার্কেটিং ইশতিয়াক শাহ্রিয়ার, হেড অফ মর্টগেজ, শিরাজুস সালেকিন এবং হেড অফ অ্যাসেট মোহাম্মদ শাহিদুল ইসলাম।বিপ্রপাটি থেকে উপস্থিত ছিলেন জেনারেল ম্যানেজার রেজবীন আহসান, হেড অফ মার্কেটিং মাহ্জাবীন চৌধুরী, এরিয়া হেড, সেলস নাফিস শাহ্নেওয়াজ, এরিয়া হেড,সেলস অনিক সীমান্ত এবং এসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার, প্রডাক্ট, ইমরান ফরিদ।
আইপিডিসি ফাইনান্সের সিইও মমিনুল ইসলাম বলেন, “এই চুক্তির ফলে গ্রাহকরা র এবং ফলপ্রসূ হোম লোন গ্রহণ করতে পারবেন। আমি বিশ্বাস করি এ ধরণের চুক্তিগুলো আমাদেরকে সহায়তা করবে ভবিষ্যতের দিনগুলোতে আমাদের মূল্যবান গ্রাহকদের নিজস্ব স্বপ্নের ঘর তৈরি করতে সক্ষম করা।”
বিপ্রপার্টির সিইও মার্ক নসওয়ার্দি বলেন, “আইপিডিসি ফাইনান্সের সাথে হওয়া এই চুক্তির ফলে গ্রাহকরা আগের তুলনায় অনেক দ্রুত সময়ে হোম লোন গ্রহণের সুযোগ পাবেন। যা প্রপার্টি কেনার এই প্রক্রিয়াকে সহজ এবং আরও সুবিধাজনক করে তুলবে। নিজেদের পরিষেবার সীমানা ছাড়িয়ে ব্যাংক এবং এনবিএফআইয়ের জন্য হোম লোন প্রক্রিয়ার অংশ হওয়াও ছিল আমাদের জন্য এক চমৎকার সুযোগ। বিপ্রপার্টির বিস্তৃত মার্কেট কাভারেজকে ব্যবহার করে, আইপিডিসি ফাইনান্সকে হোম লোনের গুরুত্ব বোঝাতে সহায়তা করব এবং বাংলাদেশের গ্রাহকদের জন্য এই হোম লোন পরিষেবা নিশ্চিত করব।
উল্যেখ্য, বিপ্রপার্টি কেবল বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রিয়েল এস্টেট সার্ভিস প্রোভাইডারই নয়, মূলত এটি একটি গ্লোবাল কোম্পানি। ইএমপিজি বা "ইমার্জিং মার্কেটস প্রপার্টি গ্রুপের" অধীনে বাংলাদেশে কার্যক্রম পরিচালনা করছে তারা। ২০ বছরের বেশি অভিজ্ঞতা নিয়ে শুধু বাংলাদেশ নয় সর্বমোট ১৬ টি দেশে তাদের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। বিপ্রপার্টির লক্ষ্য ছিল রিয়েল এস্টেট সার্ভিসকে সবার জন্য সহজলভ্য করা। সেই লক্ষ্যের কাছে আরও এক ধাপ এগিয়ে যেতেই বিপ্রপার্টির এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করা।
গত চার বছরে ঢাকা এবং চট্টগ্রাম মিলিয়ে প্রায় ২.৮ মিলিয়নের বেশি প্রপার্টি সংগ্রহ করেছে বিপ্রপার্টি। এই দুই শহরে ৪০০ টিরও বেশি অপারেশন কর্মী নিয়ে প্রতিটি প্রপার্টির মূল্য এবং আরও জরুরী ডাটা সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়েছে। এবং সংগৃহীত এই ডাটার ফলে কেবল ৩০ মিনিটের মধ্যেই প্রপার্টির মূল্য এবং আরও আনুষাঙ্গিক বিষয়ে সম্ভাব্য ধারণা পাওয়া যাবে।
বিপ্রপার্টি গতানুগতিক আবাসন খাতকে বিগ ডাটা প্রযুক্তির ও ভ্যালুয়েশন এ্যালগরিদমের মাধ্যমে নতুন এক মাত্রা দিয়েছে। যার মাধ্যমে কেবল প্রপ্রার্টির মূল্যই নয়, গ্রাহকদের প্রপার্টি সংক্রান্ত চাহিদাগুলোও সনাক্ত করা যাবে। এছাড়াও, বিপ্রপার্টি রেন্টাল, বিপ্রপার্টি ইন্টেরিয়র এবং পে-রেন্টের মত অসংখ্য চমৎকার পরিষেবাও অব্যাহত রয়েছে।
এই চুক্তিটির ফলে উভয় প্রতিষ্ঠান তাদের পরিষেবা আরও এক ধাপ বাড়াতে সক্ষম হবে। যারা প্রপার্টি ক্রয়ের কথা ভাবছেন তারাই বেশি উপকৃত হবেন এই চুক্তিতে। যথাযথ প্রপার্টি মূল্যায়ন এবং মালিকানা যাচাইয়ের মাধ্যমে তারা দ্রুত তাদের হোম লোন গ্রহণ করতে পারবেন।