জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকারের প্রতিশ্রুতি ও ব্যবস্থার প্রশংসা করেছেন বিশ্ব নেতারা।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) “বৈশ্বিক অভিযোজন কেন্দ্র (জিসিএ)” এর বোর্ড সভা চলাকালে বাংলাদেশ ও তার নেতৃত্বের প্রশংসা করেন, শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
এছাড়া তারা ঢাকায় গত জিসিএ সভা সফলভাবে আয়োজনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেনের প্রশংসা করেন।
এদিকে, সভায় অংশ নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার তহবিল ও কর্মসূচি বরাদ্দ করার সময় চরম ঝুঁকিতে থাকা দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের প্রতি বিশেষ মনোযোগ দিতে বিশ্ব সম্প্রদায়কে আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি জলবায়ু পরিবর্তনের বিপদ মোকাবিলায় প্রযুক্তি হস্তান্তর, স্থানীয়ভাবে গৃহীত সমাধানের স্বীকৃতি, উদ্ভাবন ও জনসচেতনতার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন।
সেই সাথে ড. মোমেন জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব মানিয়ে নিতে বাংলাদেশের নেওয়া বিভিন্ন কার্যক্রমের বর্ণনা দেন। যার মধ্যে রয়েছে- বন্যা, খরা ও লবণাক্ত সহিষ্ণু বীজ উন্নয়ন, বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ, ছাদ বাগান, নৌকায় স্কুল, ভাসমান কৃষি, নিজস্ব অর্থায়নে স্ট্রাট ফান্ড গঠন ইত্যাদি।
জলবায়ুবিষয়ক আলোচনার মূল ধারায় অভিযোজনের বিষয়টিকে কীভাবে এবং কেমন করে ফিরিয়ে আনা যায় এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে ত্বরিত অভিযোজন নিশ্চিত করার জন্য সরকারি, বেসরকারি ও জনহিতৈষী প্রতিষ্ঠানগুলোর মাঝে কার্যকর অংশীদারিত্ব গঠনের মাধ্যমে তহবিল গড়ার কৌশল নিয়ে সভায় মূলত কথা হয়েছে।
এছাড়া, নবগঠিত এ সংস্থাটি পরিচালনার পদ্ধতি এবং প্রস্তাবিত আঞ্চলিক কার্যালয়গুলো নিয়ে সভায় আলোচনা হয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার জন্য জিসিএ-এর আঞ্চলিক কার্যালয় ঢাকায় প্রতিষ্ঠা করা হবে।
জলবায়ু অভিযোজন এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশের চমৎকার সফলতা থাকায় নবগঠিত জিসিএর বোর্ড সদস্য হতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়।
জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে সোচ্চার বিশ্ব নেতারা সভায় উপস্থিত ছিলেন। তাদের মধ্যে আছেন জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি-মুন, নেদারল্যান্ড, নরওয়ে ও সুইডেনের মন্ত্রী এবং প্যারিস, রোটারডাম ও মায়ামির মেয়ররা।
এশিয়া থেকে চীন, ফিলিপাইন ও বাংলাদেশ বোর্ড সদস্য হিসেবে আমন্ত্রিত হয়।
ড. মোমেন শুক্রবার আলোচনা করেন ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামে (সিভিএফ) বাংলাদেশের সভাপতিত্ব এবং এ সময়ের জন্য পরিকল্পিত কর্মসূচি ও কার্যক্রম নিয়ে। সেই সাথে তিনি জিসিএ সদরদপ্তরের কর্মকর্তাদের সাথে শিগগিরই প্রতিষ্ঠিত হতে যাওয়া সংস্থার ঢাকা আঞ্চলিক কার্যালয় বিষয়ে আলোচনা করেন।