হলুদ: প্রাচীনকাল থেকে আয়ুর্বেদ চিকিৎসাশাস্ত্রেও হলুদের উপকারিতার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। হলুদের অ্যান্টিসেপটিক ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান শরীরের একাধিক সমস্যা দূর করতে পারে। মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ঠিক রাখার পাশাপাশি হজম, কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ, রক্ত পরিস্রুতকরণ-সহ নানা ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয় হলুদ। হলুদে উপস্থিত কারকিউমিন পেশি ও জয়েন্টের ব্যথা দূর করতে পারে। অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ হওয়ায় মানসিক অবসাদও দূর করতে পারে হলুদ।
পার্সলে: রান্নাঘরের অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য উপাদান এই ভেষজ উদ্ভিদ। পার্সলের মধ্যে ভিটামিন এ,কে,সি ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, আয়রন ও একাধিক খনিজ লবণ থাকে। তাই পার্সলে শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা মজবুত করার পাশাপাশি একাধিক ক্রনিক ডিজিজ দূর করতে পারে। ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণেও এটি উপকারী।
আদা: স্যুপ, কারি, তরকারি, চা থেকে শুরু করে নানা ধরনের খাবার ও জুসে আদা দিয়ে খাওয়া যেতে পারে। অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট থাকায় ঠাণ্ডা লাগা, নানা ধরনের ভাইরাল জ্বর, পেশিতে ব্যথা-সহ নানা রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এর অ্যান্টিসেপটিক ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান শরীর সতেজ রাখে।
মেথি: প্রাচীনকাল থেকে মেথির ব্যবহার রয়েছে। আয়ুর্বেদ চিকিৎসা শাস্ত্রেও মেথির উল্লেখ রয়েছে। অনেকেই মেথি ভেজানো জল পান করেন। কোনও তরকারিতেও মেথি দিয়ে খাওয়া যেতে পারে। এক্ষেত্রে ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল, ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে পারে মেথি। শরীরে টেস্টোস্টেরনের মাত্রাও ঠিক রাখে।
পুদিনা: একাধিক উপকারিতা রয়েছে এই ভেষজ উদ্ভিদের। শরীর ভাল রাখতে নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে পুদিনার রস খাওয়া যেতে পারে। পুদিনার পাতা ভাল করে ধুয়ে চিবিয়ে খাওয়া যেতে পারে। বিভিন্ন ধরনের স্যালাড, জুস বা চাটনিতে ব্যবহার করা যেতে পারে পুদিনা। কোষ্ঠকাঠিন্য, বদহজম, মুখের দুর্গন্ধ, ঠাণ্ডা লাগা, অবসাদ-সহ একাধিক সমস্যায় কাজে দেয় পুদিনা।
এইসব উপাদান ছাড়াও রোজমেরি ,ধনেপাতা, তুলসী, ওরিগ্যানো, থাইমসহ নানা ধরনের ভেষজ উদ্ভিদ রয়েছে যা বাড়িতে চাষ করা সম্ভব। এইসব গাছ বাড়িয়ে তুলবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা।