আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে এমনটি জানা যায়।
শুধু তাই নয়, নোভাভ্যাক্স প্রথম প্রতিষেধক হিসেবে যুক্তরাজ্যে পাওয়া দ্রুত সংক্রমণক্ষম করোনার নতুন ধরনের বিরুদ্ধে সফল হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিবিসির মেডিকেল এডিটর ফার্গুশ ওয়ালশ।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন নোভাভ্যাক্সের ট্রায়ালের ফলাফলকে 'সুসংবাদ' অ্যাখ্যা দিয়ে বলেছেন, যুক্তরাজ্যের নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো এখন এ ভ্যাকসিনটি কার্যকারিতা খতিয়ে দেখবে। দেশটি এরই মধ্যে নোভাভ্যাক্সের ছয় কোটি ডোজ ক্রয়াদেশ দিয়ে রেখেছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
যুক্তরাজ্য সরকার জানিয়েছে, ওষুধ ও স্বাস্থ্যসেবা পণ্য নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ (এমএইচআরএ) জরুরি ব্যবহারের অনুমতি দিলে এ বছরের দ্বিতীয় ভাগে ডোজগুলো পাওয়া যাবে। দেশটি এখন পর্যন্ত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা, ফাইজার-বায়োএনটেক ও মডার্নার তিনটি কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন জরুরি ব্যবহারে অনুমতি দিয়েছে।
নোভাভ্যাক্স জানিয়েছে, তাদের টিকাটির তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিকাল ট্রায়ালের যুক্তরাজ্য পর্বে ৮৯ দশমিক ৩ শতাংশ কার্যকারিতা পাওয়া গেছে। এ ট্রায়ালে ১৮ থেকে ৮৪ বছর বয়সের ১৫ হাজারের বেশি মানুষ অংশ নিয়েছে; এদের ২৭ শতাংশেরই বয়স ৬৫’র বেশি।
নোভাভ্যাক্সের প্রধান নির্বাহী স্টান এর্ক যুক্তরাজ্যে ট্রায়ালের ফলকে ‘দুর্দান্ত’ অ্যাখ্যা দিয়ে বলেছেন, তারা এমনটাই প্রত্যাশা করছিলেন।
মার্কিন ওষুধ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান নোভাভ্যাক্সের এই টিকাটি ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটেও উৎপাদিত হওয়ার কথা রয়েছে। এ নিয়ে ২০২০ সালের আগস্টে দুইপক্ষের মধ্যে একটি চুক্তিও হয়েছে।