দীর্ঘ প্রায় এক বছর এই সিদ্ধান্ত ঝুলিয়ে রেখেছিল সে রাজ্যের আম আদমি সরকার। বিজেপির অভিযোগ ছিল, জেএনইউ'র ওই প্রাক্তন ছাত্র নেতাকে বাঁচাচ্ছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু সেই মামলায় ইতিমধ্যে চার্জশিট দাখিল হলেও, এক ফোঁটাও এগোয়নি শুনানির কাজ। আম আদমি সরকারের তরফে অনুমতি না মেলায়, সেই চার্জশিট খারিজ করেছিল আদালত। আদালতের তরফে নির্দেশ ছিল, রাজ্য সরকারের থেকে অনুমতিপত্র মিললেই এগোবে শুনানির কাজ। কিন্তু দিল্লির কেজরিওয়াল সরকারের গা ছাড়া মনোভাবের কারণে গত একবছরে একটও এগোয়নি শুনানির কাজ। গেরুয়া শিবিরের তরফে এমনই অভিযোগ করা হচ্ছে। এরপর একসপ্তাহ আগে ফের দিল্লি পুলিশের তরফে অনুমতি চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছিল।
এর আগে মাত্র ৯ দিন আগেই কানহাইয়ার বিরুদ্ধে ২০১৬ সালে জেএনইউ-তে দেওয়া ভাষণের সুবাদে দেশদ্রোহিতার অভিযোগে মামলা দায়ের করার অনুমোদন দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
গত ১৯ ফেব্রুয়ারি কানহাইয়া কুমারের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া অভিযোগের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চায় দিল্লির আদসেই সঙ্গে দিল্লি সরকারকে বিষয়টি মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য দিল্লি পুলিশকে নির্দেশও দেয় আদালত। মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ৩ এপ্রিল ধার্য করা হয়েছে।
এর আগের শুনানিতে আম আদমি পার্টি সরকারের তরফে জানানো হয়েছিল, কানহাইয়ার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগে মামলা দায়ের করার অনুমোদন নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। সরকারের তরফে বলা হয়েছিল যে, ফাইলটি সেই সময় দিল্লির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সত্যেন্দর জৈনের কাছে রয়েছে।
জানা গিয়েছে, কানহাইয়ার বিরুদ্ধে সংসদ হামলায় দোষী সাব্যস্ত আফজল গুরুর মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে আন্দোলনে জেএনইউ ক্যাম্পাসের ভিতরে দেশ-বিরোধী স্লোগান দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল।