এটিকে নিরাপদ হিসেবেও গণ্য করা হয়েছে এবং হাসপাতালে ভর্তি ও করোনায় মৃত্যুর বিরুদ্ধে পূর্ণ প্রতিরোধ প্রদান করবে বলে জানানো হয়েছে।
চূড়ান্ত ট্রায়ালের আগেই ভ্যাকসিনটি অনুমোদন দেয়ায় এটি বেশ বিতর্ক তৈরি করেছিল। তবে বিজ্ঞানীরা বলছেন, এটির উপকারিতা এখন প্রমাণিত। এর ফলে প্রমাণিত ভ্যাকসিনের তালিকায় ফাইজার-বায়োএনটেক, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা, মডার্না ও জ্যানসেনের সঙ্গে স্পুটনিক-৫ও যুক্ত হল।
যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও বেলজিয়ামে তৈরি জ্যানসেন ভ্যাকসিন যেভাবে কাজ করে, স্পুটনিক-৫ সেভাবেই কাজ করে। শরীরে কিঞ্চিৎ মাত্রায় করোনাভাইরাস প্রবেশ করাতে এই ভ্যাকসিনটি প্রকৌশলের মাধ্যমে একটি অক্ষতিকর ও ঠাণ্ডা ধরনের ভাইরাস ব্যবহার করে থাকে।
ভ্যাকসিনটি দেয়ার পর করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে দেহ অ্যান্টিবডি তৈরি করতে থাকে। এর মানে হল, সত্যিকার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলেও তা লড়াই করার মতো যথেষ্ট রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শরীর অর্জন করবে।
তবে স্পুটনিক-৫ এর দ্বিতীয় ডোজটি অন্যান্য ভ্যাকসিনের মতো একই ডোজের পুনরাবৃত্তি করার বদলে কিছুটা আলাদা একটি ধরন ব্যবহার করবে। প্রথম ডোজের ২১ দিন পরে তা প্রয়োগ করা হবে।
দুটি ধরনই ভাইরাসের ‘স্পাইক’কে লক্ষ্য করে কাজ করবে। তবে প্রথম ডোজের পুনরাবৃত্তির ফলে যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হবে তার চেয়েও শক্তিশালী রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়তে দ্বিতীয় ডোজে আলাদা ধরন ব্যবহৃত হচ্ছে।
ভাইরাস থেকে প্রতিরক্ষার পাশাপাশি নিরাপত্তাও দেবে ভ্যাকসিনটি। কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে তবে তা মৃদু মাত্রায়। এর মধ্যে রয়েছে বাহু ফুলে যাওয়া, ক্লান্তি ও শরীরের তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পাওয়া।সূত্র বিবিসি।