ইউসিবি ক্যাপিটাল ও নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) উদ্যোগে অনুষ্ঠিতব্য ”রাইজিং অব বেঙ্গল টাইগার:পটেনশিয়াল অব বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেটস” শিরোনামে রোড শো'তে ইউসিবি ক্যাপিটালের ওই বুথের উদ্বোধন করা হবে। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি দুবাই শহরে ইউসিবি ক্যাপিটালের ডিজিটাল বুথের যাত্রা শুরু হবে।
এ বিষয়ে ইউসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রহমত পাশা গনমাধ্যমকে বলেন, প্রবাসী বাংলাদেশীদেরকে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করার সহজ সুযোগ দিতে তারা দুবাই শহরে ডিজিটাল বুথ খুলছেন।
তিনি বলেন, এ ধরনের সেবার কয়েক ধরনের সুফল মিলবে। দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী প্রবাসীরা তাদের কষ্টার্জিত অর্থ বিনিয়োগ করে লাভবান হতে পারবেন। প্রবাসী ও বিদেশী বিনিয়োগ বাড়লে দেশের পুঁজিবাজার আরও গতিশীল হবে, বাজারের গভীরতা বাড়বে। অন্যদিকে বিনিয়োগকে কেন্দ্র করে দেশে যত বেশি বৈদেশিক মুদ্রা আসবে, দেশের বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ তত বেশি বাড়বে।
তিনি বিদেশে ব্রোকারহাউজের বুথ খোলার সাহসী ও সময়োপযোগী সিদ্ধান্তের জন্য অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের নেতৃত্বাধীন কমিশনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
এর আগে গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম সাক্ষরিত ডিজিটাল বুথ খোলার নির্দেশনায় বলা হয়েছে, স্টক এক্সচেঞ্জের সম্মতিক্রমে যেকোনো স্টক ব্রোকার ডিজিটাল বুথের জন্য কমিশনে আবেদন করতে পারবে। সিটি করপোরেশনের মধ্যে, পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদ ছাড়াও দেশের বাইরেও ডিজিটাল বুথ স্থাপন করা যাবে। তবে দেশের বাইরে স্থাপনের ক্ষেত্রে কমিশনের অনুমোদনের পাশাপাশি যথাযথ কর্তৃপক্ষের সম্মতি নিতে হবে। ডিজিটাল বুথ পরিচালনার জন্য স্টক ব্রোকারের প্রয়োজনীয় কাঠামো এবং সুযোগ-সুবিধা, আর্থিক সক্ষমতা ও জনবল থাকতে হবে।
আর বিদেশে বুথ খুলতে ১০ লাখ টাকা দিতে হবে। সেক্ষেত্রে ব্রোকারকে নন-জুডিশিয়াল ৩০০ টাকার স্টাম্পে অমীমাংসিত দাবি, বৈধ দাবি বা অপরিশোধিত দাবির ক্ষেত্রে তারা এককভাবে দায়বদ্ধ থাকবে বলে লিখিত দিতে হবে। ব্রোকার হাউজের পর্ষদ মনোনীত ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বা যেকোনো শীর্ষ কর্মকর্তা বা পরিচালকের স্বাক্ষর থাকতে হবে সেই স্টাম্পে।