মঙ্গলবার (২ ফেব্রুয়ারি) অনুষ্ঠিত ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
ট্রেক হলো শেয়ারবাজারে লেনদেনের মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠান। যার মাধ্যমে বিনিয়োগকারীরা শেয়ারের লেনদেন করবেন। এ হিসেবে ট্রেক অনেকটাই ব্রোকার হাউজের মতো। তবে ট্রেকের মালিকরা ব্রোকারেজ হাউজের মতো ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের শেয়ার পাবে না।
এর আগে ডি-মিউচুয়ালাইজেশন আইনের আলোকে ট্রেক ইস্যু করার জন্য বিএসইসির সর্বশেষ কমিশন ট্রেডিং রাইট এনটাইটেলমেন্ট সার্টিফিকেট (ট্রেক) ইস্যু সংক্রান্ত বিধিমালা প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছিল। কিন্তু কমিশন ড্রাফট বিধিমালা অনুমোদন করে যেতে পারেনি। বর্তমান কমিশনের মেয়াদে গত ১২ নভেম্বর বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (ট্রেডিং রাইট এনটাইটেলমেন্ট সার্টিফিকেট) বিধিমালা, ২০২০ এর প্রজ্ঞাপন জারি হয়।
বিধিমালা অনুযায়ী, এক্সচেঞ্জের প্রত্যেক প্রাথমিক শেয়ারহোল্ডার ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন আইনের আওতায় একটি করে ট্রেক (ব্রোকারেজ হাউজ) পাওয়ার অধিকার রাখেন।
ট্রেক ইস্যুর বিষয়ে সময়ক্ষেপনের প্রেক্ষিতে গত ২১ জানুয়ারি বিএসইসি এক চিঠিতে দুই স্টক এক্সচেঞ্জকে এ সংক্রান্ত পরিকল্পনা জানানোর নির্দেশ দেয়। চিঠিতে এক্সচেঞ্জ দুটিকে পরিকল্পনা জানানোর জন্য ১৫ দিন সময় বেঁধে দেওয়া হয়। এরই আলোকে আজ ডিএসই ট্রেক ইস্যু সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এসব বিষয়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের উপমহাব্যবস্থাপক মো. শফিকুর রহমান বলেন, ডিএসই সংশ্লিষ্ট আইন, স্কিম, বিধিমালা ও প্রবিধানমালার বিধান মোতাবেক যোগ্যতার ভিত্তিতে ডিএসইর অধীনে সিকিউরিটিজ লেনদেন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সিকিউরিটিজ লেনদেন অধিকার সম্বলিত সনদ ট্রেক ইস্যু করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
প্রাথমিক শেয়ারহোল্ডারদের বাইরে ট্রেক পাওয়ার যোগ্যতার শর্তে রাখা হয়েছে- কোম্পানি, সংবিধিবদ্ধ সংস্থা বা কমিশন থেকে অনুমোদন যেসব প্রতিষ্ঠানের পরিশোধিত মূল্যধন কমপক্ষে ৫ কোটি টাকা তারা ট্রেক পাওয়ার যোগ্য হবেন।
তবে দেশি-বিদেশি শেয়ারহোল্ডারের যৌথ উদ্যোগে গঠিত কোনো কোম্পানি আবেদন করলে তার ন্যূনতম পরিশাশোধিত মূলধন ৮ কোটি টাকা হতে হবে। আর সম্পূর্ণ বিদেশি শেয়ারহোল্ডারের মালিকানাধীন কোনো কোম্পানি আবেদন করলে তার ন্যূনতম পরিশোধিত মূলধন ১০ কোটি টাকা হতে হবে।
গেজেটে তিন ক্ষেত্রেই আবেদনকারী প্রতিষ্ঠানের নিট সম্পদের পরিমাণ সব সময় পরিশোধিত মূলধনের ৭৫ শতাংশের বেশি থাকতে হবে বলে শর্ত রাখা হয়েছে।
ট্রেক পাওয়ার জন্য এক লাখ টাকা ফি দিয়ে নির্ধারিত ফরমে আবেদন করতে হবে। এই ফি ব্যাংক ড্রাফট বা পে-অর্ডারের মাধ্যমে এক্সচেঞ্জ বরাবর জমা দিতে হবে। আবেদন পাওয়ার পর তা যাচাই-বাছাই করে এক্সচেঞ্জ ৪৫ কার্যদিবসের মধ্যে তা মঞ্জুর করবে অথবা বাতিল করবে। আবেদন মঞ্জুর হলে নিবন্ধন ফি বাবদ এক কোটি টাকা এক্সচেঞ্জ বরাবর ব্যাংক ড্রাফট বা পে-অর্ডার করতে হবে।