সোমবার দেশটিতে ক্ষমতা দখল করে সেনাবাহিনী। পরের দিন মঙ্গলবার ভিডিও কনফারেন্সে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে মিলিত হয় নিরাপত্তা পরিষদ। বাংলাদেশ সময় রাত ৯টার দিকে এই আলোচনা শুরু হয়।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, চীন সমর্থন না দেওয়ায় যৌথ বিবৃতি দিতে ব্যর্থ হয়েছে নিরাপত্তা পরিষদ। ভেটো ক্ষমতা থাকায় এ ধরনের যে কোনও প্রস্তাব বা বিবৃতি আটকে দিতে পারে দেশটি।
বৈঠক শুরুর আগে অভ্যুত্থানের নিন্দা জানিয়ে জাতিসংঘের মিয়ানমার বিষয়ক দূত ক্রিস্টিন স্ক্রানার বলেন, এটা পরিষ্কার যে নির্বাচনে সু চি-র দলের বিজয়ের কারণেই সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখল করেছে।
এদিকে মিয়ানমারের সামরিক অভ্যুত্থান এবং সু চি-র আটকের ঘটনাকে ‘মন্ত্রিসভায় বড় ধরনের রদবদল’ বলে আখ্যায়িত করেছে চীনের রাষ্ট্রীয় প্রচারমাধ্যম সিনহুয়া। ‘নিজেদের মধ্যকার বিরোধ মিটিয়ে’ নিতে মিয়ানমারের সব পক্ষের প্রতিও আহ্বান জানিয়েছে বেইজিং।
সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) ভোরে মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করে দেশটির সেনাবাহিনী। অং সান সু চি-র সরকারকে উচ্ছেদ করা ‘অপরিহার্য’ ছিল বলে মন্তব্য করেন দেশটির সেনাপ্রধান।
নিরাপত্তা পরিষদের খসড়া প্রস্তাবে- সোমবারের অভ্যুত্থানে বেআইনিভাবে আটককৃত সবাইকে অবিলম্বে মুক্তি দিতে সামরিক সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছিল। এটি প্রস্তুত করেছে যুক্তরাজ্য। এক বছরের জন্য জারি করা জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার করে নেওয়ার আহ্বানও ছিল এতে। তবে শেষ পর্যন্ত চীনের আপত্তির মুখে প্রস্তাবটি নাকচ হয়ে যায়।
২০১৭ সালে রোহিঙ্গা নিধনযজ্ঞের সময়ও একইভাবে নিরাপত্তা পরিষদের সব উদ্যোগে ভেটো দেয় চীন। বেইজিং-এর দাবি, রোহিঙ্গাদের ওপর সামরিক অভিযান মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ ইস্যু।