বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর শ্রম ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মুন্নুজান সুফিয়ান৷
তিনি বলেন, ২০১৯ সালের ২৯ জানুয়ারি জাতীয় শিশুশ্রম কল্যাণ পরিষদের সভার সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর কর্তৃক প্রস্তাবিত সুপারিশ বিবেচনায় নিয়ে কাজ করা হয়। বিভিন্ন সেক্টরকে শিশুশ্রমমুক্ত ঘোষণা করার ক্ষেত্রে সুপারিশ প্রণয়নের লক্ষ্যে সে বছরই জাতীয় মনিটরিং কোর কমিটি গঠন করা হয়৷ এরপর ট্যানারি, গ্রাস, সিরামিক, জাহাজ পুন:প্রক্রিয়াজাতকরণ, রপ্তানিমুখী চামড়াজাত শিল্প ও পাদুকা খাতের পক্ষ থেক মন্ত্রণালয়কে লিখিতভাবে জানানাে হয় এসব সেক্টরে কোনো শিশুশ্রম নেই।একই সময়ে রেশমের ৬টি শিল্প সেক্টরের মালিক পক্ষের অ্যাসােসিয়েশন থেকে মন্ত্রণালয়কে একই কথা জানানো হয়৷
তিনি আরও বলেন, সংশ্লিষ্ট সেক্টরের অ্যাসোসিয়েশন থেকে প্রত্যয়ন পাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় মনিটরিং কোর কমিটি গত নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে ৬টি সেক্টরের বিভিন্ন স্থানে অবস্থিত কারখানাসমূহ পরিদর্শন করে৷ জাতীয় মনিটরিং কোর কমিটির সরেজমিন পরিদর্শনের আগেই কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট এলাকার পরিদর্শকরা কারখানাগুলো পরিদর্শন করে মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন পাঠায়।
শ্রম মন্ত্রণালয়ের সচিব কে এম আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার প্রতিনিধি সৈয়দা মুনিরা সুলতানা, জাতীয় শ্রমিক লীগের কার্যকরী সভাপতি আলাউদ্দিন মিয়া প্রমুখ৷
শ্রম মন্ত্রণালয়ের সচিব কে এম আব্দুস সালাম বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে আরো কিছু সেক্টরকে শিশুশ্রমমুক্ত ঘোষণা করা হবে৷ ইতোমধ্যে কেরানীগঞ্জকে শিশুশ্রমমুক্ত করার লক্ষ্যে কাজ চলছে৷
জাতীয় মনিটরিং কোর কমিটি ৬টি সেক্টর পরিদর্শন সম্পন্ন করে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে ৬টি প্রতিবেদন দাখিল করে৷