শুক্রবার (৫ ফেব্রুয়ারি) ইয়াহু ফিন্যান্স এর এক প্রতিবেদন থেকে এমনটি জানা যায়।
করোনাকালেও বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম দ্রুত বর্ধনশীল উদীয়মান বাজার ও উন্নয়নশীল অর্থনীতির দেশ। কোভিড-১৯ মহামারিতে বিশ্বের অধিকাংশ দেশের অর্থনীতি সংকোচন হলেও বাংলাদেশসহ গুটিকয়েক দেশে প্রবৃদ্ধির ধারা বজায় রয়েছে। গত এক দশকে দেশের গড় আসল প্রবৃদ্ধির হার (২০১১-২০২০) শতকরা ৬ দশমিক ৬ শতাংশ। বর্তমানে বিশ্বের ৩৫তম বৃহত্তম অর্থনীতিতে বাংলাদেশ পরিণত হয়েছে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়, বিশ্বটি তিনটি বিভাগে বিভক্ত ছিল। প্রথম বিশ্বের দেশগুলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, পশ্চিম ইউরোপ এবং তাদের মিত্রদের অন্তর্ভুক্ত করেছিল। অন্যদিকে দ্বিতীয় বিশ্ব দেশগুলো চীন, কিউবা এবং অন্যান্য মিত্রদের সাথে সোভিয়েত কমিউনিস্ট ব্লককে অন্তর্ভুক্ত করেছিল।
যে দেশকে এই প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলোর সাথে সরাসরি সংযুক্ত করা হয়নি, তাদের তৃতীয় বিশ্বের দেশ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছিল।
তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে দারিদ্র্য, দুর্নীতি ও অদক্ষতা রয়েছে। অন্যদিকে প্রথম বিশ্বের দেশগুলো অর্থনৈতিকভাবে উন্নত দেশ, যেখানে নাগরিকরা একটি উচ্চমানের জীবনযাপন করছে।
২০২০ সালের সবচেয়ে দ্রুত বর্ধমান উন্নয়নশীল দেশগুলো ভৌগলিকভাবে বিভিন্ন অবস্থান থেকে এসেছে। আইএমএফ এবং দেশগুলোর জিডিপি প্রবৃদ্ধির সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী গবেষণা প্রতিবেদনটি করা হয়েছে। আর এক্ষেত্রে ২০১১ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ব্যবহার করে র্যাংকিং তৈরি করা হয়েছে।
উন্নয়নশীল দেশ থেকে যেসব দেশগুলা উন্নত দেশে পরিণত হচ্ছে:
১৫তম অবস্থানে গায়ানা: দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের উত্তর উপকূলে অবস্থিত একটি দেশ। এটি পূর্বে একটি ব্রিটিশ উপনিবেশ ছিল এবং তখন এর নাম ছিল ব্রিটিশ গায়ানা। দেশের গড় আসল প্রবৃদ্ধির হার (২০১১-২০২০) শতকরা ৬ দশমিক ০২ শতাংশ।
১৯৬৬ সালে ১৫০ বছরের ঔপনিবেশিক শাসন শেষে ব্রিটিশ গায়ানা স্বাধীনতা লাভ করে এবং গায়ানা নাম নেয়। গায়ানা একটি আদিবাসী আমেরিকান শব্দ, যার অর্থ ‘‘পানির দেশ’’। গত এক দশকে দেশটির গড় আসল বৃদ্ধির হার (২০১১ - ২০২০) শতকরা ৬ শতাংশ।
দেশটির অর্থনীতি বেশিরভাগ বক্সাইট, সোনার খনন, কৃষি, খনিজ, তেল এবং চিনি শিল্পের উপর নির্ভরশীল। যা সমস্ত রফতানি আয়ের শতকরা ২৮ শতাংশ অর্জন করছে।
১৪তম অবস্থানে ঘানা: পশ্চিম আফ্রিকার একটি রাষ্ট্র। ১৯৫৭ সাল পর্যন্ত এটি গোল্ড কোস্ট নামের একটি ব্রিটিশ উপনিবেশ ছিল। ঐ বছর এটি সাহারা-নিম্ন আফ্রিকান দেশগুলির মধ্যে প্রথম দেশ হিসেবে ইউরোপীয় ঔপনিবেশিক শাসন থেকে স্বাধীনতা লাভ করে। আধুনিক ঘানার কয়েকশত মাইল উত্তর-পশ্চিমে ঊর্ধ্ব নাইজার নদীর তীরে অবস্থিত মধ্যযুগীয় সাম্রাজ্য ঘানার নামে দেশটির নামকরণ করা হয়। দেশের গড় আসল প্রবৃদ্ধির হার (২০১১-২০২০) শতকরা ৬ দশমিক ০২ শতাংশ।
ঘানার অর্থনীতি আফ্রিকার অন্যতম শক্তিশালী অর্থনীতিগুলির একটি, কিন্তু এখনও কৃষি দেশটির অর্থনীতির মূল ভিত্তি এবং এখানকার বেশির ভাগ লোকই দরিদ্র। স্বর্ণখনিশিল্প, স্বয়ংচালিত নির্মাণ, জাহাজ নির্মাণ, ডিজিটাল প্রযুক্তি পাশাপাশি প্রাকৃতিক সংস্থান, চকোলেটের উপাদান কাকাও উৎপাদন এবং পর্যটন দেশটির আয়ের প্রধান উৎস। এছাড়া দেশটি রফতানিতেও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
১৩তম অবস্থানে ভিয়েতনাম: ভিয়েতনাম সমাজতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র, ইন্দো চীন উপদ্বীপের পূর্ব উপকূলে অবস্থিত একটি রাষ্ট্র। ভিয়েতনামের উত্তরে গণচীন, পশ্চিমে লাওস ও কম্বোডিয়া, দক্ষিণ ও পূর্বে দক্ষিণ চীন সাগর অবস্থিত। হানয় ভিয়েতনামের রাজধানী। হো চি মিন সিটি হল বৃহত্তম শহর।
ভিয়েতনাম ভৌগোলিক ভাবে সরু ও দীর্ঘ। এর ভূমিরূপ বিচিত্র। উত্তর প্রান্তে ও মধ্যভাগের ভিয়েতনাম পাহাড়-পর্বতময়। গত এক দশকে দেশের গড় আসল প্রবৃদ্ধির হার (২০১১-২০২০) শতকরা ৬ দশমিক ০২ শতাংশ। দেশটিতে করোনা মহামারি অর্থনীতিতে কোন প্রভাব ফেলতে পারেনি।
এছাড়াও ১২তম অবস্থানে রয়েছে কম্বোডিয়া।
১১তম অবস্থানে রয়েছে তানজানিয়া।
১০ম অবস্থানে রয়েছে কোট ডি আইভায়ার।
৯ম অবস্থানে রয়েছে কোট ডি মিয়ানমার।
৮ম অবস্থানে রয়েছে লাওস পি.ডি.আর.।
৭ম অবস্থানে রয়েছে তাজিকিস্তান।