শুক্রবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
মস্কোতে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক প্রধান জোসেফ বোরেল বৈঠক করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে এ ঘোষণা আসে।
এদিকে সুইডেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রাশিয়ার এমন দাবি অস্বীকার করে জানিয়েছে, তাদের কূটনীতিক এ ধরনের কোনো বিক্ষোভে অংশ নেননি। তবে রাশিয়ার দাবি, ইউরোপীয় ইউনিয়নের এই কূটনীতিকরা গত ২৩ জানুয়ারি নাভালনির পক্ষে অনুষ্ঠিত ‘অবৈধ বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন।
ইউরোপীয় কূটনীতিকদের বহিষ্কারাদেশের ব্যাপারে এক প্রতিক্রিয়ায় সুইডেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, রাশিয়ার এ পদক্ষেপের কোনো ব্যাখ্যা থাকতে পারে না এবং মস্কোর বিরুদ্ধে পাল্টা পদক্ষেপ নেয়ার অধিকার আছে স্টকহোমের।
বিরোধী নেতা অ্যালেক্সাই নাভালনি গ্রেফতারের প্রতিবাদে রাশিয়ায় চলমান বিক্ষোভ বল প্রয়োগের মাধ্যমে দমন করছে রুশ সরকার। এর মধ্যেই বিক্ষোভে সমর্থন দেওয়া বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের ওপর চটেছে মস্কো।
এদিকে নাভালনির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলেছেন তার আইনজীবী। তার দাবি, অভিযোগকারী নিজে নাভালনির বিরুদ্ধে কোনো মামলা দায়ের করেননি।
নাভালনির আইনজীবী ওলগা মিখাইলোভা বলেন, ‘সব তথ্য উপাত্ততে এটা স্পষ্ট যে নাভালনি নির্দোষ। আমরা সব নথি খতিয়ে দেখতে আদালতের কাছে অনুরোধ জানিয়েছি। আদালত ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করেছেন।’
জার্মানি থেকে ফেরার পর গত মাসে দুর্নীতিসহ নানা অভিযোগে আটক হন রাশিয়ার বিরোধী নেতা অ্যালেক্সাই নাভালনি।
গত আগস্টে নাভালনিকে বিষপ্রয়োগ করা হয়, তখন চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়েছিল জার্মানিতে। চলতি বছরের ১৭ জানুয়ারি জার্মানির বার্লিন থেকে রাশিয়ার মস্কোয় ফেরেন নাভালনি। তাকে বিমানবন্দরেই গ্রেফতার করা হয়। মস্কোর একটি আদালত ২ ফেব্রুয়ারি নাভালনিকে সাড়ে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়ার পর বিক্ষোভ করেন তার সমর্থকরা।