শুরুটা ছিল একটু মন্থর। দুই দলই যেন বুঝে নিতে চাইছিল প্রতিপক্ষের কৌশল। এর মধ্যেই সপ্তম মিনিটে ম্যাচে প্রথম সুযোগটা পায় রিয়াল। ডি বক্স থেকে শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি করিম বেনজেমা। প্রথমার্ধ জুড়ে ফরাসি এই স্ট্রাইকার কোনো শট বা হেড রাখতে পারেননি লক্ষ্যে।
২১তম মিনিটে রিয়ালের প্রতি আক্রমণ থেকে বার্সেলোনার ত্রাতা জেরার্দ পিকে। পাল্টা আক্রমণে ম্যাচে নিজেদের প্রথম ভালো সুযোগটি পায় সফরকারীরা। জর্দি আলবার নিচু ক্রস বিপজ্জনক জায়গায় পেয়েও শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি অঁতোয়ান গ্রিজমান।
৩০তম মিনিটে সুযোগ আসে মেসির সামনে। গ্রিজমানের কাছ থেকে বল পেয়ে বার্সেলোনা অধিনায়ক শট নেন গোলরক্ষক বরাবর।
৩৩তম মিনিটে দুইবার ডি বক্স থেকে হেড লক্ষ্যে রাখতে পারেননি বেনজেমা। প্রতি আক্রমণ থেকে পরের মিনিটে এগিয়েই যাচ্ছিল বার্সেলোনা। দারুণ দক্ষতায় সঙ্গে লেগে থাকা টনি ক্রুসকে পেছনে ফেলে এগিয়ে যান আর্থার। কিন্তু গোলরক্ষককে একা পেয়েও বল জালে পাঠাতে পারেননি ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার। এগিয়ে এসে কর্নারের বিনিময়ে দলকে বাঁচান থিবো কর্তোয়া।
চার মিনিট পর আবার দলের ত্রাতা রিয়াল গোলরক্ষক। সের্হিও বুসকেতসের উঁচু করে বাড়ানো বল বুক দিয়ে নামিয়ে বুলেট গতির শট নেন মেসি। এগিয়ে এসে ঠেকিয়ে দেন কর্তোয়া।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুটা ভালো করে বার্সেলোনা। বেশিরভাগ সময় পায়ে বল রেখে আক্রমণে যায় তবে ভাঙতে পারেনি রিয়ালের জমাট রক্ষণ। শুরুতে নিজেদের গুটিয়ে রাখা রিয়াল ধীরে ধীরে আক্রমণে যায়।
৫৫তম মিনিটে ইসকোর বাঁকানো শট ঝাঁপিয়ে পড়ে কোনোমতে কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন মার্ক-আন্ড্রে টের স্টেগেন। ম্যাচে এটাই ছিল বার্সেলোনা গোলরক্ষকের প্রথম বড় পরীক্ষা। এরপর থেকে অবশ্য একের পর এক পরীক্ষা দিয়ে যেতে হয়েছে তাকে।
৬১তম মিনিটে আবার বেঁচে যায় বার্সেলোনা। এবার ত্রাতা পিকে। ইসকোর হেড ঠিক মতো বিপদমুক্ত করতে পারেননি টের স্টেগেন। বল চলে যাচ্ছিল জালে। গোল লাইনের সামনে থেকে ঠেকিয়ে দেন পিকে।
পরের মিনিটে বিপজ্জনক জায়গা থেকে ভলি লক্ষ্যে রাখতে পারেননি বেনজেমা।
বদলি নেমেই জালের দেখা প্রায় পেয়েই যাচ্ছিলেন মার্টিন ব্রাথওয়েট। মার্সেলোকে কাটিয়ে ফাঁকি দিয়েছিলেন কর্তোয়াকে। তবে রাফায়েল ভারান ঠেকিয়ে দেন বার্সেলোনা ফরোয়ার্ডকে।
৭২তম মিনিটে এগিয়ে যায় রিয়াল। ক্রুসের কাছ থেকে বল পান ভিনিসিউস জুনিয়র। অরক্ষিত এই ফরোয়ার্ডের শট স্লাইড করা পিকের পায়ে লেগে দিক পাল্টে জালে জড়ায়। কিছুই করার ছিল না বার্সেলোনা গোলরক্ষকের।
৭৫তম মিনিটে প্রতি আক্রমণ থেকে সমতা আনার সুযোগ আসে মেসির সামনে। মার্সেলো ও ভারানের যৌথ চেষ্টায় বেঁচে যায় রিয়াল। ৮৩তম মিনিটে মেসির ফ্রি-কিকে হেড লক্ষ্যে রাখতে পারেননি পিকে।
যোগ করা সময়ে বদলি নেমে পরের মিনিটে জালের দেখা পান মারিয়ানো। সামুয়েল উমতিতিকে গতিতে পেছনে ফেলে কোনাকুনি শটে টের স্টেগেনকে পরাস্ত করেন তিনি। চলতি মৌসুমে লা লিগায় এটাই তার প্রথম ম্যাচ!
এই জয়ে ২৬ ম্যাচে ৫৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে উঠে গেল রিয়াল। আসরে পঞ্চম হারের তেতো স্বাদ পাওয়া বার্সেলোনা ৫৫ পয়েন্ট নিয়ে আছে দুই নম্বরে।