তবে আগামী ৯ মার্চ এ সংক্রান্ত নোটিফিকেশন জারি হবে বলে ভারতীয় রপ্তানিকারকেরা বন্দরের আমদানিকারকদের জানিয়েছেন। সে ক্ষেত্রে এর পরদিন ১০ মার্চ থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হতে পারে বলে আমদানিকারকরা জানিয়েছেন।
হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক মোবারক হোসেন ও মাহফুজার রহমান বাবু গণমাধ্যমকে বলেন, ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে পেঁয়াজের উৎপাদন ভালো হওয়ায় এবং পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়ায় দাম কমেছে। এমন অবস্থায় গত বুধবার ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয়। তবে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিলেও এখন পর্যন্ত কোন নোটিফিকেশন জারি করেনি ভারত।
তারা জানান, গত বৃহস্পতি ও শুক্রবার নোটিফিকেশন জারি হওয়ার কথা ছিল কিন্তু তা করা হয়নি। আজ রোববার ছুটির দিন হওয়ায় এর কোনো সম্ভাবনা নেই। আগামী ৮ তারিখে ভারতে দোলযাত্রা (হোলি) উৎসব রয়েছে, সেই উৎসবের পর ৯ মার্চ এ সংক্রান্ত নোটিফিকেশন জারি হতে পারে বলে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা আজ আমাদেরকে জানিয়েছেন।
কত ডলারে ভারত বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি করবে, কত ডলারে এলসি খুলতে হবে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা থাকবে ওই নোটিফিকেশনে। এটি পাওয়ার পর আমদানিকারকেরা এলসি খোলা শুরু করবেন। এরপর ১০ মার্চ থেকে বন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হবে। আর ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হলে দেশের বাজারে পেঁয়াজের মূল্যের যে ঊর্ধ্বমুখী অবস্থা রয়েছে সেটি কমে আসবে।
উল্লেখ্য, অভ্যন্তরীণ বাজারে পেঁয়াজের সংকট ও দাম বৃদ্ধির অজুহাত গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর ভারত থেকে বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি একেবারে বন্ধ করে দেয়। এরপর রাতারাতি বেড়ে যায় নিত্যপ্রয়োজনীয় এ পণ্যের দাম। একপর্যায়ে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ৩০০ টাকা পর্যন্ত হয়। পরবর্তীতে বিভিন্ন দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করে সরকার। এছাড়া দেশের বাজারে অভ্যন্তরীণ চাষকৃত পেঁয়াজ উঠতে শুরু করায় দাম কিছুটা কমে আসে।