এনএলডির অভিযোগ- মঙ্গলবার রাতে সেনাবাহিনীর সদস্যরা দরজা ভেঙ্গে এনএলডির সদর দফতরে প্রবেশ করে। তবে সেসময় দলের কোনো নেতাকর্মী কার্যালয়ে ছিলেন না।
দলের ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজে জানানো হয়, ‘সামরিক স্বৈরাচার সাড়ে ৯টার দিকে এনএলডি সদর দফতরে তল্লাশি ও তছনছ করেছে।’ তবে আর বিস্তারিত কিছু বলা হয়নি।
আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা বিবিসি জানিয়েছে, সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে দেশটিতে কারফিউ চলছে। রাত ৮টা থেকে ভোর ৪টা পর্যন্ত কারফিউ কার্যকর থাকে। সে সময়ে এনএলডি কার্যালয়ে তল্লাশি করা হয়েছে।
এদিকে দেশটিতে এখনও পাঁচজনের বেশি একসঙ্গে সমবেত হওয়া নিষিদ্ধ আছে। এর মধ্যেও বিক্ষোভ চলছে এবং হাজার হাজার প্রতিবাদকারী মঙ্গলবার চতুর্থ দিনের মতো রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করে। পুলিশ তাদের ওপর লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এসময় অনেকে আহত হয়েছেন বলেও বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে।
বুধবার ভোরে সরকারি চাকরিজীবীরা রাজধানী নেপিডোতে সমবেত হয়। এসময় বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে জলকামান ও কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়েছে পুলিশ। তবে তাতেও বিক্ষোভকারীদের সরানো যায়নি। এসময় তারা স্লোগান দেয়- ‘সামরিক স্বৈরতন্ত্রের অবসান হোক’।
গত ১ ফেব্রুয়ারি সেনা অভ্যুত্থান ঘটিয়ে অং সান সু চিসহ দেশটির শীর্ষ রাজনৈতিক নেতাদের বন্দী এবং সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখল করে। অভ্যুত্থানের পর থেকে দেশটির লাখো নাগরিক বিক্ষোভ শুরু করেন।