উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে গত বছরের ২৬ জানুয়ারি মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমান (সিএভি) রাখা হয়েছিল। কিন্তু বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে গত বছর যুদ্ধাপরাধের মামলার কোনো রায় দিতে পারেননি ট্রাইব্যুনাল।
মানবতাবিরোধী তিন অভিযোগে ২০১৮ সালের ৪ মার্চ এ মামলায় মোট ১১ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছিলেন ট্রাইব্যুনাল। বিচার চলাকালে গ্রেপ্তার ও পলাতক দু'জনের মৃত্যু হলে বর্তমানে আসামি রয়েছেন ৯ জন। এর মধ্যে পাঁচ আসামি খলিলুর রহমান মীর, মো. শামসুজ্জামান ওরফে আবুল কালাম, মো. আব্দুল্লাহ, রইছ উদ্দিন আজাদী ওরফে আক্কেল আলী ও আব্দুল লতিফ কারাগারে আছেন। আর চার আসামি এ এফ এম ফয়জুল্লাহ, আব্দুর রাজ্জাক মণ্ডল, সিরাজুল ইসলাম তোতা ও আলিম উদ্দিন খান পলাতক।
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় তাদের বিরুদ্ধে হত্যা, নির্যাতন, অপহরণ, আটকসহ বিভিন্ন অপরাধের চারটি ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। অভিযুক্ত আসামিদের মধ্যে আব্দুল মালেক আকন্দ গ্রেপ্তারের পর বিচার চলাকালে মারা যান। পলাতক অবস্থায় মারা যান আসামি নুরুল আমিন শাজাহান।
২০১৪ সালের ১৬ অক্টোবর এ মামলার তদন্ত শুরু হয়। পরে তদন্তকারী কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২৫ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল। তদন্ত শেষে ২০১৭ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল করেন প্রসিকিউশন। মোট ১৮ জন সাক্ষী এ মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন বলে জানায় প্রসিকিউশন।