বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের সঙ্গে সফিকুল হক চৌধুরীর সম্পর্ক ছিল। তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, ‘খবর পেয়েছি তিনি মারা গেছেন। তিনি গতকাল রাতে হাসপাতালে মারা গেছেন।’
শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, ‘বাংলাদেশের মানবিক ও সামাজিক উন্নয়নে আশার সফিকুল হক চৌধুরীর অনেক বেশি অবদান আছে। তার মৃত্যুতে দেশের অপূরণীয় ক্ষতি হলো। তিনি অত্যন্ত ভালো মানুষ ছিলেন। অত্যন্ত মানবিক ব্যক্তি ছিলেন। আমরা চরমভাবে ব্যথিত হয়েছি। তার মতো ভালো মানুষ খুব বেশি আসে না পৃথিবীতে।’
সফিকুল হক চৌধুরী ১৯৪৯ সালে হবিগঞ্জের চুনারুঘাটের নরপতি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন । তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৬৮ সালে সমাজ বিজ্ঞানে বিএ ও ১৯৬৯ সালে সমাজ বিজ্ঞানে এমএ ডিগ্রি অর্জন করেন। বিসিএস ১৯৭৩ ব্যাচের প্রবেশনারী কর্মকর্তা হিসেবে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত হয়ে পরে চাকরিতে যোগদান করেননি সফিকুল হক।
তিনি ১৯৭৮ সালে আশা প্রতিষ্ঠা করে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৬ সালে বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কৃষি মন্ত্রণালয়, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন সফিকুল হক।