করোনাভাইরাস সংক্রমণ ও উইঘুর সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতনের বিষয়ে চীন সরকারের সমালোচনা করত বিবিসি। অবশ্য দেশটিতে আগে থেকেই ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমটির সম্প্রচার অত্যন্ত সীমাবদ্ধ ছিল। সেখানে শুধু আন্তর্জাতিক হোটেল এবং কিছু কূটনৈতিক এলাকায় বিবিসি সম্প্রচারিত হতো। অর্থাৎ চীনের সাধারণ মানুষ তাদের অনুষ্ঠান দেখতে পেত না।
তাছাড়া চলতি মাসের শুরুর দিকে চীনা গ্লোবাল টেলিভিশন নেটওয়ার্কের (সিজিটিএন) লাইসেন্স বাতিল করেছে যুক্তরাজ্য। দেশটির গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ অফকমের দাবি, গত বছর ব্রিটিশ নাগরিক পিটার হামফ্রের কথিত ‘জোরপূর্ব স্বীকারোক্তি’ প্রচার করে যুক্তরাজ্যের সম্প্রচারনীতি ভঙ্গ করেছে সিজিটিএন।
এঘটনার সপ্তাহখানেক পরেই অন্তত এক বছরের জন্য বিবিসির সম্প্রচার পুরোপুরি নিষিদ্ধের ঘোষণা করল চীন।
চীনা কর্তৃপক্ষ বলেছে, চীনের বিষয়ে বিবিসি ওয়ার্ল্ড নিউজের প্রতিবেদনগুলো সম্প্রচার নীতিমালার ‘গুরুতর লঙ্ঘন’। তাদের কথায়, ‘সংবাদ সত্য ও নিরপেক্ষ হওয়া উচিত এবং তা যেন চীনের জাতীয় স্বার্থের জন্য ক্ষতিকর না হয়।’
বিবিসি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা চীনের এই সিদ্ধান্তে ‘হতাশ’। এক বিবৃতিতে সংবাদমাধ্যমটি বলেছে, চীনা কর্তৃপক্ষ এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ায় আমরা হতাশ। বিবিসি বিশ্বের সবচেয়ে বিশ্বস্ত আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এবং সারা বিশ্ব থেকে ন্যায্য ও নিরপেক্ষভাবে কোনো ভয় বা পক্ষপাতিত্ব না করে খবর সংগ্রহ করে।’
চীনে বিবিসি নিষিদ্ধ করার নিন্দা জানিয়ে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডমিনিক রাব বলেছেন, এতে ‘গণমাধ্যমের স্বাধীনতা অগ্রহণযোগ্যভাবে সংকুচিত’ করা হয়েছে।