শুক্রবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ভোরে যশোর-মাগুরা সড়কে এক বাস নিয়ন্ত্রণ হারালে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডের চিকিৎসক আশরাফুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহত বাসচালক সোহাগ গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়ার বাবুল মিয়ার ছেলে।
আহতরা হলেন— খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার লাখফোটিয়া গ্রামের আলম শেখের স্ত্রী জাহানারা বেগম, চন্দ্রনিমোহর গ্রামের আলতাফ হোসেনের ছেলে রিপন, তেরখাদা উপজেলার মণ্ডলগাতি গ্রামের শামীম আহমেদের ছেলে মীর মোহাম্মাদ, যশোর সদর উপজেলার জোদরহিমপুর গ্রামের রুহুল কুদ্দুসের ছেলে ফরহাদ হোসেন কাজল ওচৌগাছা উপজেলার রায়নগর গ্রামের মন্টু মিয়ার স্ত্রী নূরজাহান বেগম।
দুর্ঘটনায় আহত রিপন জানান, ঢাকার গাবতলী থেকে খুলনার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা দিগন্ত পরিবহনের এক বাসে তারা গন্তব্যে যাচ্ছিলেন। বাসটি যশোর-মাগুরা সড়কের গাইদঘাট নামকস্থানে পৌঁছলে চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। এসময় বাসটি এক গাছের সঙ্গে ধাক্কা খায়। এতে বেশ কয়েকজন যাত্রী আহত হন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আহতদের উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।
চিকিৎসক আশরাফুল আলম জানান, আজ ভোরে ৭ জনকে গুরুতর অবস্থায় ভর্তি করা হয়। এর মধ্যে বাসচালক সোহাগ চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৭টা ৪০ মিনিটে মারা যান। আহতদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।