বৃহস্পতিবার একদল সিনেটরের সামনে ভাষণ দেওয়ার সময় তিনি এই হুশিয়ারি দেন। এর একদিন আগে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে তার ফোনালাপ হয়েছে।
জো বাইডেন বলেন, যদি আমরা জোর গতিতে সামনে না এগোই, তারা আমাদের ছাড়িয়ে যাবে। পরিবহন, পরিবেশসহ অন্যান্য ইস্যুতে তারা বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করছে। আমাদেরও গতি বাড়াতে হবে।
বিশ্বজুড়ে অবকাঠামো খাতে চীন বিপুল অর্থ ঢালছে। উচ্চগতির রেল, মেট্রো সিস্টেম, আবাসন ভবন, বৈদ্যুতিক গ্রিড ও মোবাইল নেটওয়ার্কে তারা বিনিয়োগের বন্যা বইয়ে দিয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, রেল খাতে তাদের বড় বড় প্রকল্প আছে। তাদের এমন রেল আছে, যাতে এক ঘণ্টায় ২২৫ মাইল পথ যাওয়া যাবে।
শি জিনপিংয়ের সঙ্গে প্রথম ফোনালাপে বাইডেন অবাধ ও মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন। অন্যদিকে শি জিনপিং সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, সংঘাত দুই দেশের জন্যই বিপর্যয় বয়ে আনবে।
হোয়াইট হাউস এক বিবৃতিতে জানায়, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জিনজিয়াংয়ে চীনের মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে কথা বলেছেন। এ ছাড়া হংকংয়ের ওপর চীনের দমনপীড়ন এবং তাইওয়ানের সঙ্গে চীনের চলমান উত্তেজনা নিয়েও কথা বলেন তিনি।
এদিকে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট শি সংঘাতের পরিণতি নিয়ে বাইডেনকে সতর্ক করে দিয়ে দুপক্ষেরই ভুল বোঝাবুঝি এড়িয়ে চলা দরকার বলে মত দিয়েছেন।