শুক্রবার (১২ ফেব্রুয়ারি) তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় গুলশান থানার হত্যাচেষ্টা মামলায় তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করা হয়। অপর দিকে তার আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম আশেক ইমাম তার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।
এদিন সকাল ১০টার দিকে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ডিবি পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। তিনি তার বাবার মৃত্যু সংবাদ পেয়ে দেশে ফেরেন।
গত বছরের ১৯ মে এক্সিম ব্যাংক কর্তৃপক্ষ গুলশান থানায় রন হক সিকদার ও তার ভাই দিপু হক সিকদারের বিরুদ্ধে মামলা করে। মামলার পর নিজেদের চার্টার্ড বিমানে করে তারা থাইল্যান্ডে পাড়ি জমান।
মামলার বিবরণে উল্লেখ করা হয়, পুরো ঘটনাটি ৫০০ কোটি টাকা ঋণ প্রস্তাব নিয়ে। এই ঋণের বিপরীতে বন্ধকি সম্পত্তি পরিদর্শনের নামে এক্সিম ব্যাংকের দুই কর্মকর্তাকে ডেকে আনা হয়েছিল।
এ সময় জামানত হিসেবে ওই সম্পত্তির বন্ধকি মূল্য কম উল্লেখ করেন ব্যাংকটির এমডি ও অতিরিক্ত এমডি। এরপরই গুলি ও মারধরের ঘটনা ঘটে। রন হক সিকদার ও দিপু হক সিকদার ব্যাংকটির এমডির কাছে একটি সাদা কাগজে জোর করে স্বাক্ষর নেন।