গ্রেফতারকৃতরা হলো- মাজহারুল ইসলাম ওরফে রাকিব, মোঃ জহিরুল তালুকদার, আবু বক্কর সিদ্দিক ওরফে খোকা মোঃ সেলিম ওরফে ল্যাংরা সেলিম, মোঃ লালন ও মোঃ সেলিম মিয়া। এসময় তাদের হেফাজত হতে ছিনতাইয়ে ব্যবহৃত ০২টি চাপাতি, ০২টি চাকু, ০১টি এন্টিকাটার, ০১টি হাতুড়ি ও লুষ্ঠিত ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) ও শুক্রবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ধারাবাহিক অভিযান চালিয়ে ঢাকা ও আশপাশের জেলা হতে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
শনিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২১) বেলা ১১.৩০ টায় ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) এ কে এম হাফিজ আক্তার বিপিএম (বার)।
[caption id="attachment_45922" align="alignnone" width="1200"] ছবিতে উদ্ধারকৃত মালামাল[/caption]
প্রসঙ্গত, ০৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ তারিখ ভিকটিম শহিদুল ইসলাম কোতোয়ালী থানার তাঁতিবাজারের একটি অফিস হতে ব্যাগে করে ৩৫ লক্ষ টাকা নিয়ে ব্যাংকে জমা করার উদ্দেশ্যে রিকশাযোগে রওনা হন। বেলা আনুমানিক ২:৩০ থেকে ৩টায় তার রিকশাটি শাহবাগ থানার টিএনটি এক্সচেঞ্জ এর পূর্ব পাশে টেম্পু স্ট্যান্ডের কাছে এসে পৌঁছালে অজ্ঞাতনামা ৮ থেকে ১০ জন লোক তার রিকশা গতিরোধ করে তাকে ঘিরে ধরে। অজ্ঞাতনামা দুর্বত্তরা ভিকটিম শহিদুলকে উপর্যপুরি কিল, ঘুসি, থাপ্পর ও চাকু দিয়ে ডান চোখের নিচে গুরুতর আঘাত করে তার কাছে থাকা ব্যাগভর্তি ৩৫ লক্ষ টাকা জোর করে ছিনিয়ে নেয়। উক্ত ঘটনায় শাহবাগ থানায় একটি মামলা রুজু হয়।
ডিবির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, ঘটনার পর মামলাটি তদন্ত শুরু করে গোয়েন্দা রমনা বিভাগ। তদন্তকালে গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
তিনি আরো বলেন, এটি একটি ছিনতাইকারী চক্র। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা উক্ত ছিনতাইয়ের ঘটনায় সরাসরি জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। এই চক্রের অন্যান্য সদস্যদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।