কৃষিবিদরা শুধু কৃষির উন্নয়নে ভূমিকা রাখলে হবে না, কৃষিবান্ধব সরকারের অভীষ্ট ও লক্ষ্যে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে রাজনৈতিক সচেতন মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ শক্তিশালীভাবে ঘটাতে হবে। শেখ হাসিনা থাকলে কৃষি ও কৃষিবিদবান্ধব সরকার থাকবে। তা না হলে কানসার্টে কৃষকদের গুলি করার মতো ঘটনা ঘটবে। উপেক্ষিত হওয়ার মতো পরিস্থিতি আসবে।’’
শনিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর খামারবাড়িতে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ মিলনায়তনে ‘কৃষিবিদ দিবস ২০২১’ উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন ।
এসময় তিনি আরো বলেন, ‘‘কৃষিনির্ভর বাংলাদেশে কৃষক বাঁচলে কৃষি বাঁচবে। আর কৃষি বাঁচলে দেশের অপ্রতিরোধ্য উন্নয়ন অগ্রযাত্রা এগিয়ে যাবে। কৃষিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখতে পারে কৃষিবিদরা। কৃষিবিদদের যোগ্যতা ও পান্ডিন্ত্য দেশের কল্যাণে নিবেদিত হোক, এ প্রত্যাশা থাকবে। কৃষি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বৈষম্য দূর করার বিষয়টি বিবেচনা করার উপযুক্ত সময় হয়েছে। এ বিষয়ে একটি সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া দরকার। না হলে কৃষিবিদরা যথাযথ অবদান রাখতে পারবেনা না, মেধার বিকাশ ঘটাতে পারবেন না।’’
দেশে নানারকম অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সৃষ্টির একটি অপপ্রচেষ্টা আছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘‘কেউ কেউ বাইরের টেলিভিশনকে ম্যানেজ করে বিগ বাজেটের ফিল্ম তৈরি করছেন। এ পরিস্থিতিতে দেশাত্মবোধের চেতনা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বাঁচিয়ে রাখতে শেখ হাসিনা সরকার যে অভিষ্ট ও লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে তা নিয়ে অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে কৃষিবিদদের সোচ্চার ভূমিকা পালন করতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। কেউ নির্বাক থাকলে চলবে না। যেখানে অপপ্রচার সেখানেই প্রতিরোধ করতে হবে।’’
কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. শহীদুর রশীদ ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ এমপি ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম। অনুষ্ঠানে সম্মানীয় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন একুশে পদক মনোনয়নপ্রাপ্ত কৃষিবিদ ড. মির্জা এ জলিল। স্বাগত বক্তব্য রাখেন কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশের মহাসচিব মো. খায়রুল আলম প্রিন্স। সভায় কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ বক্তব্য প্রদান করেন।