এতদিন তিনি যত নাটকে অভিনয় করেছেন তার সবই আঞ্চলিকতায় ভরা সংলাপ। এই প্রথম কোনো নাটকে তিনি ভিন্নরূপে হাজির হচ্ছেন। তার গেটআপ, মেকআপ, চলন-বলন সম্পূর্ণই আলাদা
নাটকের নাম ‘প্যারোলে মুক্তি’। টিপু আলম মিলনের গল্পে সুবাতা রাহিক জারিফার চিত্রনাট্যে এটি পরিচালনা করেছেন জিয়াউর রহমান জিয়া। রাশেদ ছাড়াও এ নাটকে অভিনয় করেছেন, নাজিয়া হক অর্ষা, সুষমা সরকার, শিল্পী সরকার অপু, সাহেদ আলী সুজন, জুলফিকার চঞ্চলসহ অনেকে।
‘প্যারোলে মুক্তি’ নাটকের কাহিনী নিয়ে বলতে গিয়ে লেখক টিপু আলম মিলন বলেন, ‘নাটকের গল্পে দেখা যাবে- রাশেদকে আদালত মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন, তার একমাত্র বোন জামাই জামালকে হত্যার দায়ে। রাশেদের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ শুনে হার্ট এ্যাটাকে মারা যান তার মা। মায়ের লাশ দেখতে প্যারোলে মুক্তি নিয়ে আসেন রাশেদ। রাশেদকে দেখে সমাজের লোকজন ধীক্কার দিতে থাকে।
লাবনী রাশেদের একসময়ের ভালোবাসার মানুষ এবং সম্পর্কে তার বেয়াইন। লাবনীও আজ ভাইয়ের হত্যার বিচার চায়। লাবনীর চোখে মুখেও আজ রাশেদের প্রতি প্রচণ্ড ঘৃণা । অথচ একসময় লাবনী রাশেদের জন্য জীবন দিতেও প্রস্তুত ছিলো। রাশেদের বোন নাহার স্বামী হারিয়ে, মা হারিয়ে এবং ভাইয়ের মৃত্যুদণ্ডের সংবাদে নিথর হয়ে গেছে। রাশেদ আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে এবং একবারের জন্যও আত্মপক্ষ সমর্থন করেনা।
সে সবসময় কারাগারে একা একা বসে থাকে এবং কি যেন ভাবে। যা এক কারারক্ষীর দৃষ্টি এড়ায় না। বয়স্ক এ কারারক্ষী রাশেদকে খুব অনুরোধ করে কেন সে তার বোন জামাইকে হত্যা করেছে তা তাকে খুলে বলতে।
কিন্তু রাশেদ বার বারই বলে ‘আমার যা ভালো মনে হয়েছে আমি তাই করেছি’।
সে মুখ খুলতে চায়না। কিন্তু বয়স্ক কারারক্ষী যখন পিতার দাবী নিয়ে রাশেদকে ঘটনাটি বলার জন্য অনুরোধ করেন তখন রাশেদ নিজেকে নিয়ন্ত্রন করতে পাওে না। সে বলে “আপনি যদি আমার দুটি ইচ্ছে পূরণ করেন তাহলে আমি আপনাকে কেন তাকে হত্যা করেছি তা বলবো”। কারারক্ষী রাজী হয়। এরপরই হত্যাকান্ডের কারণ বলতে শুরু করে রাশেদ। বেরিয়ে আসে হৃদয় ছোঁয়া এক মর্মন্তুদ কাহিনী। ব্যতিক্রম কাহিনীর এই নাটকটি দর্শকদের ভালো লাগবে বলে আমার বিশ্বাস।