রোববার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে সিরাজগঞ্জের তাড়াশ ঈদগাহ মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে ভিডিও কনফারেন্সে সংযুক্ত হয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এখন আন্দোলনের কোনো ইস্যু নেই। আন্দোলনের নামে জনগণকে অস্বস্তিতে ফেলবেন না। বিএনপির অপরাজনীতি গ্রহণ করছে না জনগণ। এজন্যই বিএনপি পুলিশ ও জনগণকে প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড় করিয়েছে।
দলের কমিটি গঠন প্রক্রিয়া প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, কমিটি পকেটের মধ্যে ঢুকাবেন না। কাউন্সিলর ও কর্মীরা যাদের নেতা মানবেন, তাদেরই নেতা বানাবেন। আজকে বানালেন, দুই পকেটে দুজন ঢুকালেন আপনি যখন থাকবেন না, ওই পকেটের লোকও আপনার থাকবে না। এসব নিয়ে সুবিধা পেতে চেষ্টা করবেন না।
তিনি বলেন, দল ভারী করার জন্য খারাপ লোকদের দলে আনবেন না। খারাপ লোক এনে দল ভারী করতে আওয়ামী লীগ চাই না। কর্মী বাড়ান। নেতা উৎপাদনের কারখানা দরকার নেই। কর্মী উৎপাদনের কারখানা চাই। কর্মীরাই হচ্ছে আওয়ামী লীগের প্রাণ। তাই ত্যাগী কর্মীদের মূল্যায়ন করতে হবে।
সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন তাড়াশ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হক। এসময় উপস্থিত ছিলেন সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আলহাজ্ব কে.এম হোসেন আলী হাসান, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ তালুকদার, সহ-সভাপতি আবু ইউসুফ সূর্য, স্থানীয় সাংসদ অধ্যাপক ডা. আব্দুল আজিজ প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক সঞ্জিত কর্মকার।