নিহত যুবক হলেন- ভাড়ারা ইউনিয়নের কাথুলিয়া গ্রামের মো. মুন্তাজ প্রামাণিকের ছেলে মো. আমিরুল ইসলাম প্রামাণিক (৩০)। তিনি সর্বহারা দলের সাবেক সদস্য বলে জানা গেছে।
পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম জানান, রোববার সন্ধ্যার দিকে ভাড়ারা ইউনিয়নের আতাইকান্দা ভাউডাঙ্গা মোড়ে চায়ের দোকানে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হয় রাজমিস্ত্রী আমিরুল ইসলাম প্রামাণিককে। হত্যাকারীরা তাকে গুলি করে করে চলে যাবার সময় সর্বহারার দলের স্লোগান দেয়। পূর্ব শত্রুতার জেরে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ।
নিহত আমিরুল ইসলাম এর আগে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত চরমপন্থি নেতা নিস্তারের ঘনিষ্ঠজন বলে জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা।
স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহ উদ্ধার করে। হত্যার কারণ ও জড়িতদের খুঁজে বের করতে তদন্ত কাজ করছে বলেও জানান তিনি।
স্থানীয়রা জানায়, নিহত আমিরুল এলাকার অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। ভাড়ারা ইউনিয়নে দীর্ঘদিন ধরে বর্তমান চেয়ারম্যান আবু সাঈদ খাঁন ও সুলতান আহম্মেদ খাঁনের মধ্যে আঞ্চলিক আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিরোধ চলে আসছে।
সন্ধ্যার পরে এলাকার মুজিববাঁধ সংলগ্ন আতাইকান্দা ভাউডাঙ্গা মোড়ে প্রতিদিনের মতো চা খেতে এসেছিলেন আমিরুল। সন্ত্রাসীরা পূর্ব থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে তার অপেক্ষায় ছিল। আমিরুল চায়ের দোকানে বসে চা খাওয়া অবস্থায় প্রকাশ্যে গুলি করে তাকে হত্যা করা হয়।
নিহত আমিরুল ইসলাম পূর্বে সর্বহারা দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকলেও বর্তমানে কৃষি ও রাজমিস্ত্রীর কাজের করতেন এবং এলাকায় সুলতান খানের সমর্থক বলে জানান স্থানীয়রা।