সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) মতিঝিলে অবস্থিত আইডিআরএ’র কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান নিয়ন্ত্রক সংস্থাটির চেয়ারম্যান ডা. এম মোশাররফ হোসেন।
তিনি বলেন, তিন থেকে ১৭ বছর বয়সী শিশুদের জন্য আভিভাবকরা বঙ্গবন্ধু শিক্ষা বীমা করতে পারবেন। এজন্য বার্ষিক প্রিমিয়াম দিতে হবে ৮৫ টাকা। বঙ্গবন্ধু শিক্ষা বীমা পলিসি গ্রহণের পর কোনো কারণে অভিভাবক মারা গেলে ওই শিশু ১৭ বছর পর্যন্ত মাসিক ৫০০ টাকা করে পাবেন।
তিনি আরও বলেন, আগামী ১ মার্চ বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আলোচনা সভা ও বঙ্গবন্ধু বীমা মেলা অনুষ্ঠিত হবে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ অনুষ্ঠানেই বঙ্গবন্ধু শিক্ষা বীমা চালু করা হবে।
এছাড়াও তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে স্বল্প প্রিমিয়ামে অর্থাৎ মাত্র ১০০ টাকা দিয়ে এক বছরের জন্য দুই লাখ টাকার চিকিৎসা সুবিধাসহ চালু করা হয়েছে ‘বঙ্গবন্ধু সুরক্ষা বীমা’। এছাড়া ১৬ লাখের বেশি প্রতিবন্ধীর জন্য স্বাস্থ্য বীমা পরিকল্প তৈরির কাজ চূড়ান্ত করা হয়েছে। চালু করা হয়েছে ‘বঙ্গবন্ধু স্পোটর্সম্যান ইন্স্যুরেন্স’।
অনুষ্ঠানে আইডিআরএ’র দুই সদস্য এবং ইন্স্যুরেন্স ফোরামের প্রেসিডেন্ট ও পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা বিএম ইউসুফ আলী উপস্থিত ছিলেন। এতে ভার্চুয়ালি অংশ নেন বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট শেখ কবির হোসেন।
তিনি বলেন, আমাদের কাজ খুব একটা ভালো না হওয়ায় যেখানে সব সেক্টর এগিয়ে গেছে, সেখানে আমরা এখনও পিছিয়ে আছি। আমরা জানি যেই দেশের বীমাখাত যতো উন্নত ও শক্তিশালী সেই দেশের অর্থনীতি ততো শক্তিশালী। বিশ্বের বিভিন্ন উন্নত দেশে বীমাখাতের লাইফ ফান্ডের টাকা দিয়েই বড় বড় মেগা প্রজেক্ট হয়। এখানেও আমরা অনেক পিছিয়ে আছি।
এখন আইডিআরএ গঠন করা হয়েছে। ২০১০ সালে বীমা আইন এবং এরপর আইডিআরএ গঠন করার পর অনেক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। সারাদেশে ব্যাপক প্রচারের জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আশা করি, জাতীয় বীমা দিবস পালনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বা সোনার বাংলা গড়ার প্রধানমন্ত্রীর যে প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে, আমরা তাতে সহযোগিতা করব, যোগ করেন শেখ কবির হোসেন।