রোববার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে বিএইচবিএফসি’র বোর্ড রুমে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অতিঃ দায়িত্ব) অরুন কুমার চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিএইচবিএফসির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো. সেলিম উদ্দিন, প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে একযোগে সকল কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
এছাড়া অনুষ্ঠানটিতে সরাসরি অংশগ্রহণ করেন সদর দফতরের মহাব্যবস্থাপকবৃন্দ, উপ-মহাব্যবস্থাপকবৃন্দ এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ এবং অন্যান্য অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে সংযুক্ত ছিলেন। সঞ্চালক হিসেবে সভাটি পরিচালনা করেন সহকারী মহাব্যবস্থাপক মো. নজরুল ইসলাম ও সিনিয়র অফিসার ফাইজা নোশিন।
বিএইচবিএফসির চেয়ারম্যান বক্তব্যের শুরুতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করেন। মহান একুশের মাসে ভাষা শহীদের প্রতিও বিনম্র শ্রদ্ধা জানান।
তিনি বলেন, বর্তমানে জাতির পিতার ধ্যান ধারণার উপর ভিত্তি করেই দেশ পরিচালিত হচ্ছে। জাতির পিতার আদর্শ বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। মুজিববর্ষ উপলক্ষে বিএইচবিএফসি কর্তৃক গৃহীত কর্মসূচীগুলি যেন সফল বাস্তবায়ন হয় সে বিষয়ে সকলকে একযোগে কাজ করার আহবান জানান। তিনি পূর্ববর্তী বক্তাদের বক্তব্য পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিশ্লেষন করেন এবং বলেন ঋণ সেবা মাস অন্যান্য মাস থেকে আলাদা এবং এই সেবা মাস বাস্তবায়ন করতে হলে সকলকে কঠোরভাবে পরিশ্রম করতে হবে। এই সেবা মাসে মাঠ পর্যায়ে কর্মরত সকলের পারফরম্যান্স ইভ্যালুয়েশনের ভিত্তিতে পুরস্কার ও তিরস্কার ব্যবস্থা রাখার বিষয়টি সমর্থন করেন।
তিনি গ্রাহকের সাথে আত্মীয়তার মত সম্পর্ক গড়ে তোলার উপর জোর দেন। যেন গ্রাহকগণ প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম পর্যন্ত বিএইচবিএফসির সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখে।একই সাথে সকল প্রকার অজুহাতকে পিছে ফেলে নিজস্ব জ্ঞান, দক্ষতা এবং সততার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানে সচেষ্ট হবার আহবান জানান। সেবা সহজীকরণের ক্ষেত্রে কোন প্রকার প্রতিবন্ধকতা থাকলে তা সমাধানেরও প্রতিশ্রুতি দেন।
তিনি আরও বলেন, ব্যক্তিগত সমস্যার কারনে মাঠ পর্যায় থেকে কোন নথি রিফিউজ বা বাতিল না হয় সে জন্য প্রতিটি নথি সদর দফতরের নজরদারিতে আনার সুপারিশ করেন। এছাড়া সকল ম্যানেজারকে স্ব-স্ব ক্ষেত্রে এম,ডির ভুমিকায় অবতীর্ন হবার আহবান জানান।
ব্যবস্থাপনা পরিচালক অরুন কুমার চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষনা অনুযায়ী সবার জন্য আবাসন নিশ্চিত করতে আমাদেরও দায়বদ্ধতা রয়েছে। সে দায়বদ্ধতা থেকে ঋণ সেবা মাসে গ্রাহক সন্তুষ্টি বিধানের মাধ্যমে ঋণ মঞ্জুরীর টার্গেট শতভাগ পূরণের বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এছাড়াও তিনি বলেন, প্রতি বছর ঋণ সেবা মাস পালন করা হলেও এ বছর এর মাল্টি পারপাস এক্টিভিটিস রয়েছে। ঋণ সেবা মাসের মাধ্যমে যাদের দক্ষতার ঘাটতি রয়েছে তাদের চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ হিসাবে গড়ে তোলা হবে। কুইক রেসপন্স টিমের মাধ্যমে মাঠ পর্যায়ে সার্বক্ষিক সহযোগিতা প্রদান করা হবে। তিনি গর্ব করে বলেন বিএইচবিএফসি’র চাকুরীকে আত্মমর্যাদাপূর্ণ চাকুরী হিসেবে আখ্যা করেন। কেননা এ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে অনেক মানুষের মৌলিক চাহিদার অন্যতম বাসস্থানের ব্যবস্থা করার সুযোগ রয়েছে। তিনি মাঠ পর্যায়ের ৮৫টি অফিসে যোগ্য ও মেধাবী কর্মকর্তাগণ দায়িত্ব পালন করছেন। দুই একজন কর্মকর্তার অবহেলা এবং দায়িত্বহীনতার কারনে বিএইচবিএফসি’র অর্জন ম্লান হতে দেয়া যাবে না। এ সেবা মাসের মাধ্যমে কেউ যদি প্রতিষ্ঠানের জন্য ক্ষতিকর হয়ে থাকে তাদেরকে চিহ্নিত করা হবে। যারা ভালো করবে তাদের পুরস্কারের ব্যবস্থা রাখার জন্য সুপারিশ করেন।সকলকে গ্রাহক সেবার মান ঈর্ষনীয় পর্যায়ে রাখতে এবং টার্গেট অর্জনে শতভাগ প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে আহবান জানান তিনি।
অনুষ্ঠানের প্রথম পর্যায়ে মহাব্যবস্থাপক চানু গোপাল ঘোষ, মো. আতিকুল ইসলাম, মো. জসীম উদ্দীন, মো. নাজমুল হোসেন সেবা মাস উপলক্ষ্যে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন। বক্তব্যে তাঁরা সেবা মাসের ধরণ, গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে আলোকপাত করে সেবা মাস যেন কাগজে কলমে সীমাবদ্ধ না থেকে সে বিষয়ে সকলকে সচেষ্ট থাকার আহবান জানান। এছাড়া সর্বোচ্চ গ্রাহক সন্তুষ্টি বিধানের মাধ্যমে কর্পোরেশনের ইমেজ তৈরি এবং ঋণ প্রবাহ বৃদ্ধির মাধ্যমে টার্গেট পূরণ করে সেবা মাসের স্বার্থকতা অর্জনের আনার জন্য সকলকে অনুরোধ জানান।